ক্যাম্পাস

ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগকারীর মুখে কালো মাস্ক ছিল

ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগকারীর মুখে কালো মাস্ক ছিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি রাক্ষুসে স্বৈরাচারের মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে।  

ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মুখে কালো মাস্ক পরা একজনকে আগুন দিতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইসরাফিল প্রাং।

তিনি জানান, ওই ব্যক্তির পরনে ছিল জিন্স, মুখে কালো মাস্ক। তিনি ঠান্ডা মাথায় মোটিফটিতে আগুন দেন। তবে তার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।  

বর্ষবরণে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’তে আজ ভোর পৌনে ৫টার সময় আগুন দেওয়া হয়। এতে প্রতিকৃতিটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। মোটিফটির পাশে থাকা পায়রার প্রতিকৃতিও পুড়ে গেছে‌।

জানা গেছে, নির্দিষ্ট ডিভাইস থেকে সিসিটিভিতে ধারণকৃত ফুটেজ উদ্ধারের জন্য পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এজন্য ফুটেজ থেকে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করতে ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে।

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। শাহবাগ থানায় জিডিও করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। 

সকালে চারুকলার এক শিক্ষার্থী বলেন রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেছিলেন, “এটি নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছিল। আজকের মধ্যে এর কাজ শেষ হয়ে যেত। এটা নিঃসন্দেহে ষড়যন্ত্র। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, কেউ ইচ্ছা করেই আগুন লাগিয়েছে। প্রশাসনের লোকজনও এর পেছনে জড়িত কি না খুঁজে বের করতে হবে। কারণ রাতে এখানে পুলিশের লোকজনও উপস্থিত ছিল।”

এ বছর বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বাঁশ-বেতের কারুকাজে তৈরি করা হয়েছিল দৈত্যাকৃতির ফ্যাসিবাদী প্রতিকৃতি, যার উচ্চতা ছিল প্রায় ২০ ফুট। যেখানে সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি মুখাবয়বের দুপাশে ছিল শিংয়ের মতো অবয়ব। প্রতিকৃতিতে ইতোমধ্যেই প্রলেপের কাজ শেষ হয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এটিই ছিল এবারের শোভাযাত্রার প্রধান মোটিফ।