‘চার্মিং’ মনোমুগ্ধকর বা আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বকে শিল্পের সঙ্গে তুলনা করা হয়। কেউ কেউ একটি ঘরে প্রবেশের সাথে সাথেই অন্যদের মুগ্ধ করেন, আবার কেউ কেউ সময়ের সাথে সাথে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করে নেন। যদিও প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক আকর্ষণ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তারপরেও ব্যক্তিজীবনে কিছু কিছু অভ্যাস অনুশীলনের মাধ্যমে ‘আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব’ অর্জন করা যায়।
সেক্ষেত্রে দুইটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি, মনোভাব এবং শারীরিক ভাষা। বাংলাদেশের অন্যতম ‘চার্মিং’ বা আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব বিবেচনা করা হয় গুণী অভিনেত্রী জয়া আহসানকে।
জয়া আহসান এক সাক্ষাৎকারে তার ‘চার্মিং’ থাকার তিনটি কারণ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘যেকোন মানুষ হাসিখুশি থাকলে তাকে ‘চার্মিং’ দেখায়। আমি হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করি এবং পজেটিভ থিংকিং করি; এইটুকুই। আর অবশ্যই একটি লাইফস্টাইল মেনে চলি। আমি বলবো যে, একজন মানুষের লাইফস্টাইল, এবং পজেটিভ থিংকিং তাকে ‘চার্মিং’ করে তুলতে পারে।’’
‘চার্মিং’ ধারণাটি শুধুমাত্র চেহারা বা সৌন্দর্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আপনি একজন মানুষের সঙ্গে কীভাবে কথা বলছেন, সেই ধরণও বলে দেবে আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন।
উইকিহাউ এর প্রতিবেদন ‘চার্মিং’ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হওয়ার বেশ কয়েকটি উপায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেমন— কারও সঙ্গে কথা বলার সময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন। চোখে যেন হাসি থাকে, সেদিকটা আয়ত্ব করার চেষ্টা করতে হবে। যার সঙ্গে কথা বলবেন তার আগ্রহের উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে শিখুন এবং ভদ্র থাকুন। আপনি যার সাথে কথা বলছেন তার কখনই মনে করা উচিত নয় যে আপনি কথোপকথনটি ছোট করার চেষ্টা করছেন। মানুষের নাম মনে রাখার চেষ্টা করুন। মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার মিশেলে সম্পর্ক গড়ে তুলুন।