:: সংক্ষিপ্ত স্কোর :: বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৯১/৭ (তাইজুল ৫ , মিরাজ ১৬) জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২২৭/১০
সাদমানের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বাংলাদেশের যতটা এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ততটা কি পেরেছে? উত্তরটা, নিঃসন্দেহে না। বরং উৎকণ্ঠা, অস্বস্তি, উদ্বেগ নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। লিড পেয়েছে। কিন্তু তাতে স্বস্তি পাওয়ার কিছু আছে সামান্যই।
জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে আটকে দিয়ে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ২৯১ রান তুলে মঙ্গলবার দিনের খেলা শেষ করেছে। ৬৪ রানের লিড বাংলাদেশের। উইকেটে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান বলতে আছেন কেবল মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর তাইজুল, হাসান ও তানজিম সাকিব রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য রাখেন। কিন্তু দলকে কতদূর নিয়ে যেতে পারবেন সেটাই বিরাট প্রশ্নের।
১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় বাংলাদেশ। এরপর এনামুল হক সাজঘরে ফিরলেও মুমিনুল ও সাদমান পরিস্থিতি সামলে নেন। এ সময়ে সাদমান সেঞ্চুরি তুলে নেন। মুমিনুল এগিয়ে যান ফিফটির দিকে। কিন্তু পরপর দুই বলে দুই থিতু হওয়া ব্যাটসম্যান আউট হলে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের।
১৯৩ রানে বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারায়। পরের ৮৫ রান তুলতেই নেই ৫ উইকেট।প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারানো দল দ্বিতীয় সেশনে ৩ উইকেট হারায়। শেষ সেশনে যোগ হয় আরো ৪ উইকেট। বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের রান টপকে গেলেও বড় লিড পাওয়া না লেগে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখতে পারবে না।
মাসেকেসার ঘূর্ণিতে দিশেহারা বাংলাদেশ
ছোট্ট এক স্পেলে বাংলাদেশ শিবির নাড়িয়ে দিচ্ছেন অভিষিক্ত মাসেকেসা। শান্ত, জাকেরের পর তার শিকার নাঈম হাসান। মাঝে তার বলে রান আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিমও।
লেগ স্পিনারের সবশেষ শিকার নাঈম। হাওয়ায় ভাসানো বল ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়েছিলেন নাঈম। বল তার ব্যাটে চুমু খেয়ে যায় দ্বিতীয় স্লিপে উইলিয়ামসের হাতে।
নতুন বল নেওয়ার আগে শেষ ওভারে আরেকটি সাফল্যে দারুণ খুশি জিম্বাবুয়ে। ২৭৯ রানে বাংলাদেশ হারিয়েছে সপ্তম উইকেট। লিড কেবল ৫২ রানের। মিরাজের নতুন সঙ্গী তাইজুল ইসলাম।
মুশফিকুরকে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
অবিশ্বাস্য রান আউট! নিজের ডাকে রান নেওয়ার চেষ্টায় মুশফিকুর বিপদ ডেকে আনলেন। দলকেও বিপদে ফেললেন। অনেক দিন পর নিজের ছন্দে ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর। শান্ত, জাকের তাকে রেখে ফিরে গেলেও নিজের মনোযোগে চিড় ধরতে দেননি মুশফিকুর। কিন্তু দ্রুত রান নেওয়ার চেষ্টায় অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান বিলিয়ে এলেন নিজের উইকেট।
মাসেকেসার ফুলার লেন্থ বল আলতো টোকায় মিড অনে পাঠিয়ে দৌড় দেন মুশফিকুর। তার ডাকে সাড়া দেন মিরাজও। কিন্তু সেখানে মাধভেরে ছিলেন উড়ন্ত। দৌড়ে, ডাইভ দিয়ে চোখের নিমিষেই বল ধরে থ্রো করেন। বল আঘাত করে বেলসে। মুশফিকুর উইকেট বাঁচাতে ডাইভ দিয়েছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। ৫৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪০ রান করে থামেন মুশফিকুর।
৬ উইকেটে বাংলাদেশের রান ২৭৪। উইকেটে মিরাজের সঙ্গী নাঈম।
ভুল শটে জাকের আউট
অভিষিক্ত মাসেকেসারকে এবার ফিরতি ক্যাচ দিলেন জাকের আলী। ১৩ বলে ৫ রানে থামল তার ইনিংস। বাংলাদেশ হারাল পঞ্চম উইকেট। লেগ স্পিনারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন জাকের। এর আগে শান্তকে সাজঘরের পথ দেখান তরুণ লেগ স্পিনার।
মাসেকেসারের হাওয়ায় ভাসানো বল আলগা শটে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন জাকের। শটে তেমন জোর ছিল না। ভুল শট খেলে ফিরতি ক্যাচ দেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সহজ ক্যাচ নিয়ে মাসেকসার পেয়ে যান দ্বিতীয় উইকেট।
৫ উইকেটে বাংলাদেশের রান ২৬৮। লিড কেবল ৪১ রানের। উইকেটে মুশফিকুরের নতুন সঙ্গী মিরাজ।
ফিরলেন শান্ত
১৯৪ রানের মাথায় সাদমান ইসলামের উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। তারা চতুর্থ উইকেটে ৬৫ রান যোগ করেন তারা দুজন। দলীয় ২৫৯ রানের মাথায় গিয়ে বিভ্রান্ত হন শান্ত। ভিনসেন্ট মাসেকেসার করা অফের ঠিক বাইরের বল শেষ দিকে শান্তর দিকে তেড়ে যায়। শান্ত শর্ট মিড উইকেটে পাঠানোর চেষ্টা করেন। সেখানে ওয়েলচ সেটা তালুবন্দি করেন। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান করে যান অধিনায়ক। মুশফিকের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন জাকের আলী।
আড়াইশ পেরিয়ে বাংলাদেশের রান, মুশফিক-শান্তর জুটির পঞ্চাশ
মাসাকাদজার শর্ট বল পুল করে মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন শান্ত। সীমানায় থাকা মাসেকা অনেকটাদূর দৌড়ে, ড্রাইভ দিয়ে বল আটকানোর চেষ্টা করলেন। লাভ হলো না। বলের গতি বেশি থাকায় বাউন্ডারিতে গড়াল। এই চারে বাংলাদেশের রান আড়াইশ পেরিয়ে গেল। ৩ উইকেটে বাংলাদেশের রান ২৫২। লিড ২৫ রানের। মুশফিকুর ৩৪ ও শান্ত ১৯ রানে ব্যাটিং করছেন। দুজনের জুটি ৫৮ রানের।
বাংলাদেশের লিড
বেনেটের শর্ট বল সময় নিয়ে ব্যাকফুটে গিয়ে কাভারে পাঠালেন মুশফিকুর রহিম। বিশাল ফাঁকা জায়গা দিয়ে বল গড়িয়ে গেল সীমানায়। ২২৬ রান থেকে বাংলাদেশের রান ২২৮। ছাড়িয়ে গেল জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে করা ২২৭ রান।
সাদমান, এনামুল ও মুমিনুল যে ভিত গড়ে দিয়েছিলেন তার ওপর দাঁড়িয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় শান্ত ও মুশফিক। তাদের ব্যাটে লিড নেওয়া বাংলাদেশ কতদূর যায় সেটাই দেখার। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে এরই মধ্যে তাদের জুটির রান ৩৬ পেরিয়েছে।
স্বস্তি-অস্বস্তি মিলিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেশন
দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ হারাল ৩ উইকেট। ১০০ রান তুললেও ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা অস্বস্তি ছড়িয়েছে। এই সেশনে সাদমান ইসলাম তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। মুমিনুল হকেরও শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। দুজন দ্বিতীয় উইকেটে ৭৬ রানের জমাট জুটিও গড়েছিলেন।
কিন্তু চা-বিরতির ঠিক আগে পরপর দুই বলে দুই থিতু হওয়া ব্যাটসম্যান ফিরলেন আলগা শটে। জিম্বাবুয়ে ‘ফাইট ব্যাক’ করলেও বাংলাদেশ লিড নেওয়ার পথেই আছে। অতিথিদের থেকে মাত্র ২২ রান পিছিয়ে। যা স্বস্তির খবর।
উইকেটে ব্যাটিং করছেন শান্ত ও মুশফিক। ৩ উইকেটে বাংলাদেশের রান ২০৫। সাদমান ও মুমিনুলের আগে সাজঘরে ফেরেন এনামুল হক বিজয়। তিন বছর পর জাতীয় দলে ফেরা এনামুল ৩৯ রানে মুজারাবানির বলে এলবিডব্লিউ হন।
জোড়া উইকেটে জিম্বাবুয়ের ‘ফাইট ব্যাক’
চা-বিরতির ঠিক আগে থিতু হওয়া দুই ব্যাটসম্যানের উইকেট তুলে দিয়ে দারুণভাবে ‘ফাইট ব্যাক’ করেছে জিম্বাবুয়ে। পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ওভারের শেষ বলে মুমিনুল নিজের উইকেট উপহার দিয়ে আসেন। পরের ওভারের প্রথম বলে বেনেট এলবিডব্লিউ করেন সেঞ্চুরিয়ান সাদমানকে।
১৯৪ রানে ১ উইকেট থেকে হুট করেই স্কোরবোর্ডের চিত্র এরকম, ১৯৩/৩। উইকেটে নতুন দুই ব্যাটসম্যান শান্ত ও মুশফিক।
১৬ ও ১ ছক্কায় ১৮১ বলে ১২০ রান করে সাদমান সাজঘরে ফিরলেন। ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। এর আগে ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটাই তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
উইকেট বিলিয়ে এলেন মুমিনুল
চা-বিরতির ঠিক আগে মনোযোগ হারিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে এলেন মুমিনুল হক। চট্টগ্রামের এই মাঠে মুমিনুলের গড় প্রায় ৬২। ১৩ সেঞ্চুরির ৭টিই এই মাঠে। আজও বড় রান পাওয়ার সুযোগ ছিল তার। সেদিকেই হাঁটছিলেন।
দ্বিতীয় উইকেটে সাদমানের সঙ্গে জুটি গড়েছিলেন ৭৬ রানের। মনে হচ্ছিল দু্যতি ছড়িয়ে মুমিনুলও মাইলফলকের পথে ছুটবেন। কিন্তু ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ৩৩ রান করা মুমিনুল। ৬৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়ে বিদায় নেন মুমিনুল।
মুমিনুল-সাদমান জুটির পঞ্চাশ
এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন সাদমান ও মুমিনুল। জমাট ব্যাটিংয়ে তাদের জুটির রানও পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। ১ উইকেটে বাংলাদেশের রান এখন ১৮১। দ্বিতীয় উইকেটে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যোগ করেছেন ৬৩ রান। শতরান পেরিয়ে সাদমান ব্যাটিং করছেন। মুমিনুল পেরিয়েছেন বিশের ঘর।
চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। চার বছর পর একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এবার ঘরের মাঠে পেলেন প্রথম শতকের দেখা। মাঝে রাওয়ালপিণ্ডিতে ৯৩ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন। দলের প্রয়োজনে ইনিংসটির গুরুত্ব ছিল অনেক। কিন্তু ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি ছোঁয়া হয়নি।
এবার ভুল করলেন না। শুরু থেকে যে ধারাবাহিকতায় ব্যাটিং করছিলেন তা ধরে রাখলেন সেঞ্চুরি পর্যন্ত। ১৬ চার হাঁকিয়ে পৌঁছেছেন সেঞ্চুরিতে। শতরানের ৬৪ রানই তিনি পেয়েছেন বাউন্ডারিতে। প্রবল আত্মবিশ্বাস, দৃঢ় মনোবল ও মাটি কামড়ে পড়ে থাকার মানসিকতায় আজ ব্যাটিং করছেন। সেঞ্চুরির ইনিংসটি কতটা বড় করতে পারেন সেটাই দেখার।
এনামুলের বিদায়ে ভাঙল জুটি
মধ্যাহ্ন বিরতির পর বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে চিড় ধরাতে পারল জিম্বাবুয়ে। পেসার মুজারাবানির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরলেন এনামুল হক বিজয়। তিন বছর পর টেস্ট দলে ফিরে এনামুল থামলেন ৩৯ রানে। ১২ রানে জীবন পেয়েছিলেন তিনি। শুরুতে শর্ট বলে একটু নড়বড়েও ছিলেন। তবুও উইকেটে থিতু হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইনিংসটি বড় করতে পারেননি। সাদমানের সঙ্গে তার উদ্বোধনী জুটি টিকল ১১৮ রান পর্যন্ত। রিভিউ নিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য তার পাশে থাকেনি। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক।
১৮তম বাংলাদেশি হিসেবে হাজারি ক্লাবে সাদমান
সাদমান ইসলাম পার্ট টাইমার ব্রায়ান বেনেটের বলটা পেছনের পায়ে গিয়ে মিড উইকেট দিয়ে ৪ মেরেই অনেকগুলো বিশেষ মুহুর্তে নিয়ে গেলেন বাংলাদেশ ও নিজেকে। দলীয় রান ৯৭ থেকে ১০১ হলো। একই সাথে আড়াই বছর পর টেস্টে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি গড়ল শতরান। এসব গেল দলীয় অর্জন।বেনেটের বলে হাঁকানো সেই চারে বাঁহাতি ওপেনার একটি ব্যক্তিগত মাইলফলকেও পৌঁছে গেলেন। তাঁর ব্যাক্তিগত টেস্ট রান ৯৯৭ থেকে হয়ে গেল ১০০১। এই বাঁহাতি ওপেনার ১৮তম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে সাদা পোষাকে চার অংক স্পর্ষ করলেন।
আড়াই বছর পর ওপেনিং জুটিতে এলো শতরান
পার্ট টাইমার ব্রায়ান বেনেটের বলটা পেছনের পায়ে গিয়ে মিড উইকেট দিয়ে চার মারলেন সাদমান ইসলাম। তাতেই বাংলাদেশ দল পৌঁছে গেল দলীয় ১০০ রানে। সবশেষ ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে জাকের হোসেন এবং নাজমুল হোসেন শান্ত প্রথম উইকেটেই শতরানের (১২৪) ঞ্জুটি গড়েছিলেন। আবার ৩৩ ইনিংস পর একই ভেন্যুতে শতরানের জুটি গড়লেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়।
ওপেনিং জুটিতে অবশেষে এলো শতরান
শাদমান ইসলাম পেলেন টেস্টে তার ষষ্ঠ অর্ধশতক! অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথে বল ছিল। শাদমান বলের লাইনে পুরোপুরি না গিয়েই মারেন ডিপ পয়েন্টে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টনে করা ৬৪ রানের ইনিংসের পর সিলেটে জিম্এবাবুয়ের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছিলেন ১২ ও ৪ রান। চিটাগংয়ে এসেই পেলেন অর্ধশতক।
তের ইনিংস পর ওপেনিংয়ে পঞ্চাশ রান
সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে পঞ্চাশ রানের জুটি পেল বাংলাদেশ। তের ইনিংস পর বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে এলো পঞ্চাশ রান। ২০২৪ সালে চেন্নাই টেস্টের পর ওপেনিংয়ে পঞ্চাশ রানের দেখা পেল বাংলাদেশ। সেবার ৬২ রান করেছিলেন সাদমান ও জাকির।
ইনিংসের শুরু থেকে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন দুই ওপেনার। দুয়েকটি বল এদিক-সেদিক হলেও বাকিটা সময় তারা ছিলেন নিয়ন্ত্রিত। দলে ফেরা এনামুল কিছুটা সময় নিয়েছেন। ১২ রানে জীবনও পেয়েছেন। সাদমান থিতু হতে সময় নেননি। শুরু থেকেই দু্যতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন।
জীবন পেলেন এনামুল
স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা নিজের প্রথম ওভারে ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারতেন। আউট হতে পারতেন এনামুল হক বিজয়। কিন্তু তাকে জীবন দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক আরভিন। মাসাকাদজার শর্ট বল জায়গায় দাঁড়িয়ে কাট করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন এনামুল। সেখানে আরভিন থাকলেও বল অতি দ্রুত যাওয়ায় তালুবন্দি করতে পারেননি। এর আগে পেসার মুজারাবানির শর্ট বল সামলাতে এনামুলকে বেগ পেতে হয়েছিল। ১২ রানে এনামুল জীবন পেয়েছেন। দেখার বিষয়, ইনিংসটি কতটা বড় করতে পারেন।
আত্মবিশ্বাসী শুরু সাদমান-এনামুলের
বাংলাদেশের দুই ওপেনার এরই মধ্যে তুলে নিয়েছেন বাউন্ডারি। আঁটসাঁট ব্যাটিংয়ে সামলে নিচ্ছেন জিম্বাবুয়ের পেসারদের। শুরুর ৫ ওভারে বাংলাদেশের কোনো বিপদ হয়নি। আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করছেন সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়।
ওপেনিংয়ে মাহমুদুল হাসান জয়ের জায়গায় এনামুল সুযোগ পেয়েছেন। বাংলাদেশের শেষ ৩৩ ইনিংসে ওপেনিংয়ে কোনো শত রানের জুটি আসেনি। শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে বড় রান পাচ্ছিল না দল। সাদমান-এনামুল জুটি ভরসা হয়ে উঠতে পারেন কিনা দেখার।
প্রথম বলেই জিম্বাবুয়ে ‘অলআউট’
৯ উইকেটে ২২৭ রানে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। দিনের প্রথম বলেই তাইজুল গুটিয়ে দেন অতিথিদের। তার টার্ণ করা ডেলিভারীতে ব্যাট চালিয়েছিলেন মুজারাবানি। ব্যাটে উপরিভাগে লেগে বল যায় উইকেটের পেছনে জাকের আলীর গ্লাভসে। বাংলাদেশের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি। রিভিউ নিয়ে বাংলাদেশ পেয়ে যায় সাফল্য।
তাতে দিনের প্রথম বলেই জিম্বাবুয়ে ‘অলআউট’ হয়। জিম্বাবুয়ে কোনো রান যোগ না করেই গুটিয়ে যায় ২২৭ রানে। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে প্রথম ইনিংসের বোলিং শেষ করেছেন তাইজুল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার উইকেট সংখ্যা এখন ৪৯।
সুন্দর সকালের অপেক্ষায় বাংলাদেশ
বোলিংয়ে দারুণ প্রত্যাবর্তনে জিম্বাবুয়েকে অল্পরানে আটকে রাখার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। ৯ উইকেটে ২২৭ রানে প্রথমদিন শেষ করেছিল জিম্বাবুয়ে। তাইজুল ইসলাম ৬ উইকেট নিয়ে গতকাল তাদের এলোমেলো করে দিয়েছিলেন। আজ শেষ উইকেটে জিম্বাবুয়ে কতদূর যায় সেটাই দেখার।
মঙ্গলবার টেস্টের দ্বিতীয় দিন। বাংলাদেশ অপেক্ষায় একটি সুন্দর সকালের। জিম্বাবুয়েকে দ্রুত গুটিয়ে ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। দলে ফিরেছেন এনামুল হক বিজয়। তার সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করবেন সাদমান ইসলাম। দল থেকে বাদ পড়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়।
তাইজুল টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৬তমবারের মতো ৫ উইকেট পেয়েছেন। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দারুণ বোলিং করা নাঈম হাসান পেয়েছেন ২ উইকেট। মিরাজ উইকেট না পেলেও তার বোলিং ছিল আঁটসাঁট। তাতে জিম্বাবুয়েকে উড়তে দেয়নি বোলাররা।
শেষটা ভালো করতে পারলে নিশ্চিতভাবেই প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।