অর্থনীতি

পুঁজিবাজারে পতন অব্যাহত, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে, পুঁজিবাজারে সূচকের পতন অব্যাহত আছে।

এদিন ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন অনেক কমলেও সিএসইতে কিছুটা বেড়েছে। দিনশেষে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

এদিকে, পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে বিনিয়োগকারীরা মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পুরনো ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন।

ডিএসই ও সিএসই সূত্র জানিয়েছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৭.১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৩৫ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২.৯২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৬.৬০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৩৬টি কোম্পানির, কমেছে ২১১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫০টির।

এদিন ডিএসইতে মোট ২৯১ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৫৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ২১.৭৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪২৬ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩০.৬৭ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৮১৫ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৩.৪৪ পয়েন্ট বেড়ে ৮৯১ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৯.৪২ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৬৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ২০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৭১টি কোম্পানির, কমেছে ৯৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩২টির।

সিএসইতে ১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।