বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে। অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক দর্শকপ্রিয় ও ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বলিউডের রোমান্টিক সিনেমায় অভিনেত্রীদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয়, তা নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। তার ভাষ্য—অভিনেত্রীদের সৌন্দর্যের মানদণ্ড ও পর্দায় তাদের আচরণ দেখে গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। ফলে কলেজ জীবনে নিজেকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন এই অভিনেত্রী।
জুমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চলচ্চিত্র ও ক্রিকেট খেলার প্রভাব ব্যাখ্যা করেন রাধিকা আপ্তে। এ অভিনেত্রী বলেন, “আমার মনে হয়, এই দেশে আপনি চান বা না চান, ক্রিকেট ও সিনেমা—সবচেয়ে জনপ্রিয় জিনিস, তাই না? এগুলো থেকে মানুষ অনুপ্রেরণা পায়, এগুলোর প্রতি মানুষ আগ্রহী। সুতরাং আপনি চান বা না চান, এগুলো আপনাকে প্রভাবিত করবেই। আপনি যদি আমার মতো ছোট অভিনেত্রী হন অথবা বড় তারকা, সেটা কোনো ব্যাপার না। আপনার প্রভাব আছে আর এর সঙ্গে দায়িত্বও। মনে রাখবেন, আপনি শুধু বলে যেতে পারেন না।”
তারকাদের প্রভাব ব্যাখ্যা করে রাধিকা বলেন, “আপনার বলা বা না-বলা ছোট ছোট কথার ভিত্তিতে কখনো কখনো মানুষ গড়ে ওঠে। কারণ আমারও ছিল। আমি যেসব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের প্রশংসা করতাম, তাদের কারণে অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমার মনে হয়েছিল, আমি সত্যিই এর একটি উদাহরণ।”
বলিউডে রোমান্টিক সিনেমার গল্পে নারীদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয়, সে বিষয়ে কথা বলেন রাধিকা। এ অভিনেত্রী বলেন, “কলেজ জীবনে ভাবতাম, আমি সুন্দর নই আর আমার শরীর ঠিকঠাক নেই। এসব ভাবনার কারণে অনেক কিছুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারতাম না। সমস্ত রোমান্টিক সিনেমার ট্রেন্ড ছিল—ছেলেদের ‘না’ বলা, তারপর ছেলেরা পেছনে পেছনে ঘুরতো, যা দারুণ ছিল। এসব কিছু এবং নারীদের সঙ্গে যেমন আচরণ করা হতো, তাদের যেভাবে দেখানো হতো, তা আমাকে অনেক প্রভাবিত করেছে; আমিও তারই অংশ ছিলাম।”
“তারপর সৌভাগ্যক্রমে, আপনি সবকিছু নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেন, বুঝতে পারেন এসব বাজে কথা। কিন্তু এর বড় ধরনের প্রভাব থেকেই যায়! তাই আমার মনে হয়, কিছু দায়িত্ব আপনারও থাকে। আপনি নিজেকে রাজনীতি থেকে আলাদা করতে পারেন না।” বলেন রাধিকা।
রাজনীতিকে ব্যাখ্যা করে রাধিকা বলেন, “রাজনীতি শুধু নির্বাচন বা রাজনৈতিক দল নিয় নয়; এটি প্রতিদিনের জীবন। সমাজ কীভাবে চলে, আপনি কী ভাবেন, আপনার কী দায়িত্ব, সেসবও।”