ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র জুলাইযোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধের পাশেই তাকে শায়িত করা হয়েছে। হাদির দাফন শেষে শাহবাগের দিকে জনস্রোতের ঢল নেমেছে। তাই শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। ফলে সমাধিসৌধ এলাকায় প্রবেশ করতে পারছেন না মানুষ।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে মাগরিবের আগ পর্যন্ত শাহবাগ এলাকায় দেখা যায়, পুরো শাহবাগ এলাকায় জনস্রোত। তবে শাহবাগ মোড় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অভিমুখী সড়কে শাহবাগ থানার সামনে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ।
উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদ ‘, ‘আমার ভাই মরল কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘ঢাকা না দিল্লি, ঢাকা ঢাকা’, ‘জাহাঙ্গীরের গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে’, ‘আমরা সবাই হাদি হব, গুলির মুখে কথা কব’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘আওয়ামী লীগের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘এক হাদি লোকান্তরে, লক্ষ হাদি ঘরে ঘরে’, ‘ইনসাফ, ইনসাফ' ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বেলা ৩টায় ওসমান হাদির লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবির সমাধিসৌধ এলাকায় পৌঁছায়। বেলা ৩টা ২০ মিনিটে তার দাফন সম্পন্ন হয়। কবরস্থানের আশেপাশে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সোয়াটসহ বিপুলসংখ্যাক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।