ক্যাম্পাস

জাবিতে শুরু ভর্তি যুদ্ধ, ‘সি’ ইউনিটে আসন প্রতি লড়ছেন ১০১ জন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায়  ‘সি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত কলা ও মানবিক অনুষদ, আইন অনুষদ ও তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, ‘সি’ ইউনিটে ৪৬৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৪৭ হাজার ৪৯৭টি। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে মোট ৬টি শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ৩ শিফটে ছাত্রীদের এবং পরবর্তী ৩ শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে ষষ্ঠ শিফটের পরীক্ষা শেষ হতে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলে ভোগান্তিতে পরেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

বগুড়া থেকে আসা এক অভিভাবক বলেন, “আমি গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছি। আজকে সন্ধ্যা পার হয়ে গেছে পরীক্ষা শেষ হতে। সারাদিন বসে ছিলাম এই পরীক্ষার জন্য। এমন পরীক্ষা ব্যবস্থা কোথাও দেখিনি। রাতেও পরীক্ষা হয় এটা আমার জীবনে দেখা প্রথম।”

পরীক্ষা শেষে তাহমিদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “সারাদিন বসে থেকে সন্ধ্যায় পরীক্ষা হওয়া খুবই ভোগান্তির । আমাদের মনোযোগ ঠিক থাকে না। আশা করছি আগামীতে এগুলো ঠিক করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।”

ভোগান্তির বিষয়ে জাকসুর ভিপি আবদুর রশিদ জিতু বলেন, “সন্ধ্যার পরে পরীক্ষা নেওয়া মোটেও ঠিক হয় নাই । শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরতে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পরবে। প্রশাসনের কাছ থেকে এ ধরনের অ-দায়িত্বশীল আচরণ কোন ভাবেই কাম্য নয়।”

এ বিষয়ে উপ উপাচার্য (শিক্ষা) মাহফুজুর রহমান বলেন, “আজকে বাধ্য হয়ে আমাদের সন্ধ্যার পরেও পরীক্ষা রাখতে হয়েছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোনো ভাবেই সন্ধ্যার পরে পরীক্ষা নেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারিনি। কেবল আজকেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সামনে আর ঘটবে না।”

তবে, ভোগান্তির মাঝেও কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নানা ইতিবাচক উদ্যোগ। জাকসুর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোট ৭টি সহায়তা কেন্দ্র, ছাত্র শিবিরের উদ্যোগে ২টি সহায়তা কেন্দ্র, ছাত্রদল ও ছাত্রশক্তির উদ্যোগে ১টি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের তথ্য সেবা, সুপেয় পানি, বিশ্রামের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন উপহার প্রদান করছে।

আগামী ২২ ডিসেম্বর ‘বি’ ও ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ ডিসেম্বর ‘সি’ ও ‘ডি’ ইউনিটের একাংশের এবং ২৪ ডিসেম্বর ‘ডি’ ইউনিটের বাকি অংশের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের একাংশ ও আইবিএ-জেইউ’র ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ডিসেম্বর। ২৯ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিটের অবশিষ্টাংশ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম।