ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাক শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস এবং লক্ষ্মীপুরে এক বিএনপি নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাত বছরের শিশু আয়েশার হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় শ্রমিক শক্তি।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ এই দাবি জানায় জাতীয় শ্রমিক শক্তি।
প্রতিবাদ সমাবেশ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ন সদস্য সচিব সাইফ মুস্তাফিজ বলেন, “৫ অগাস্ট পরবর্তী সময়ে এমন একটি বিষয় নিয়ে আমাদের সমবেত হতে হয়েছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের ভাই ওসমান হাদিকে হত্যার পরপর এমন একটি ঘটনা ঘটল।”
“একজন মানুষকে পিটিয়ে মারার পর পোড়ানো হচ্ছে; বাকিরা দেখে উল্লাস করছে, এটা খুবই বিভৎস। আমরা সবাই কোনো না কোনো ধর্মের অনুসারী। আমি মুসলিম হিসেবে ভিন্ন ধর্মের কেউ আমার ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করলে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারি কিন্তু এভাবে ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে মানুষ মারা যাবে না। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদেরকে যেন দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হয়,” সাইফ মুস্তাফিজ।
তিনি আরো বলেন, “আমাদের একজন সহযোদ্ধা বিএনপির এক ভাইয়ের ৭ বছর বয়সি বাচ্চাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে লক্ষীপুরে। আমি বলতে চাই আমাদের আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টারা যদি এসব ঘটনার বিচার নিশ্চিত না করতে পারেন, তাহলে আপনারা দয়া করে পদত্যাগ করুন। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টাকে দেখছি কবিতা আবৃত্তি করছেন। শোকে সাহিত্য চর্চা না করে দ্রুত একশন নিন। পরে জনতা যদি একশন নেয়, সেই দায় আপনাদের ওপরেই বর্তাবে।”
প্রতিবাদ সমাবেশ এনসিপির যুগ্ন মুখ্য সমন্বয়ক ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু বলেন, “২৪-পরবর্তী বাংলায় এখানে ধর্মের নামে বা অন্য কিছুর নামে কোনো প্রকার বেআইনি কাজ করা যাবে না। যদি কেউ দোষ করে আইন তাদেরকে শাস্তি দেবে। তাদের বিচার করার আপনারা কারা? আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই দিপু চন্দ্র দাশ এবং আয়শা আক্তারকে যারা হত্যা করেছে তাদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়।”
প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন এনসিপির যুগ্ন সদস্য সচিব মোল্লা ফারুক আহসান, জাতীয় শ্রমিক শক্তির আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম ফকির, সদস্য সচিব ঋআজ মোর্শেদ ও মুখ্য সংগঠক আরমান হোসেন প্রমুখ।