স্বাধীন বাংলাদেশের ইসলামি অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর অবদান অবিস্মরণীয়। সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে তিনি যে অবদান রেখেছেন, তা সমকালীন ইতিহাসে বিরল। ১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি নিউ ইয়র্ক টেলিভিশনের সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খুব পরিষ্কারভাবেই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি একজন মুসলমান এবং মুসলমান একবারই মাত্র মরে, দু’বার নয়। আমি মানুষ। আমি মনুষ্যত্ব ভালোবাসি। আমি আমার জাতির নেতা। আমি আমার দেশের মানুষকে ভালোবাসি।’
এই ঔদার্যময় বক্তব্যই বুঝিয়ে দেয়, চিন্তাচেতনা ও মানসিকতায় তিনি কতটা ধর্মপরায়ণ ছিলেন। তদুপরি, সব ধর্মের প্রতি তার সহানুভূতিও ছিল উল্লেখ করার মতো। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইসলামের উন্নয়নে পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলছেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ইসলাম ও মুসলমানদের কল্যাণে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
ইসলাম ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎসাহী করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রয়েছে অভাবনীয় বেশ কিছু উদ্যোগ। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন- নিজস্ব পরিকল্পনা এবং অর্থায়নে প্রতিটি জেলা, উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ। এর ভেতরে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গত বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই মডেল মসজিদ করতে ব্যয় হচ্ছে আট হাজার ৭২২ কোটি টাকা। বিশ্বে কোনো মুসলিম শাসকের একসঙ্গে এতোগুলো মসজিদ নির্মাণ এই প্রথম।
একসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের সমালোচনার প্রধান অস্ত্রই ছিল ধর্ম। তাদের সমালোচনার মূল বক্তব্য ছিল- আওয়ামী লীগ ইসলামের শত্রু, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে ইসলাম থাকবে না। আবার এমন প্রচারণাও চালানো হতো যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মসজিদে আজানের পরিবর্তে উলুধ্বনি হবে। পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক জান্তা সরকার যখন জেল-জুলুম নির্যাতন করেও বঙ্গবন্ধুকে দমিয়ে রাখতে পারেনি, তখন বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যে ধর্মের কার্ড খেলেছেন পরবর্তীতে সেই ধারাবাহিকতা বিএনপিসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলো বছরের পর বছর ধরে রেখেছে।
১৯৯১ এবং ২০০১ সালে নির্বাচনে এমনও শোনা গেছে- বিএনপির নির্বাচনী জনসভায় একদিকে কোরআন এবং অন্যদিকে গীতা রেখে সমবেত শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলা হতো- কোরআন চাইলে বিএনপিকে ভোট দিতে হবে, নৌকায় ভোট দিলে কোরআন পাঠ বন্ধ হয়ে যাবে, গীতা পাঠ করতে হবে। এসব ছিল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ধর্মভিত্তিক প্রচারণার চরম বাজে দৃষ্টান্ত। এর সঙ্গে ভারত-বিরোধিতার রাজনীতি তো আছেই। ওই দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের মূলে ছিল ধর্মের এই কার্ড ব্যবহার। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের কার্ড ব্যবহার করেও এই প্রচারণা ঠেকাতে পারেনি।
তবে মজার ব্যাপার হলো, যে দলটিকে নিয়ে ইসলামবিরোধী এতো সমালোচনা সে দলটিই এদেশে ইসলামের প্রচার এবং প্রসারে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধু যেমন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, তেমনি একইসঙ্গে এদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও। এ দুটি অনন্য সাধারণ অনুষঙ্গ বঙ্গবন্ধুর জীবনকে দান করেছে উজ্জ্বল মহিমা। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাক্কানি আলেম-ওলামাদের নিয়ে ঢাকায় সিরাত মজলিশ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি ১২ রবিউল আউয়ালে ব্যাপক আকারে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে। সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু বায়তুল মোকাররম মসজিদ চত্বরে মাহফিলের শুভ উদ্বোধন করেন। বঙ্গবন্ধুর এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতীয়ভাবে প্রতি বছর ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে। তদুপরি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই ঈদে মিলাদুন্নবী, শবেকদর ও শবেবরাত উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।
পাকিস্তান আমলে ঢাকায় বায়তুল মোকাররমসংলগ্ন একটি ইসলামিক অ্যাকাডেমি ছিল। কিন্তু ইসলামের ওপর উল্লেখযোগ্য কোনো গবেষণা এ প্রতিষ্ঠানে কোনো দিন হয়নি। ইসলাম সংক্রান্ত উচ্চতর গবেষণা, প্রচার-প্রসার এবং দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সামগ্রিক জীবনকে ইসলামের কল্যাণময় স্রোতধারায় সঞ্জীবিত করার লক্ষ্যে পঁচাত্তরের ২৮ মার্চ বঙ্গবন্ধু এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তাছাড়া ইসলামী শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠন করা হয় বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে এবং প্রতিষ্ঠানটিকে স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়, যা পাকিস্তান আমলে ছিল না।
এখানে একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়, একবার মাদ্রাসার জন্য সরকারি অনুদান বন্ধের একটি প্রস্তাব সংবলিত নথি বঙ্গবন্ধুর কাছে উপস্থাপন করা হলে বঙ্গবন্ধু ফাইলে লেখেন- মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য যে বরাদ্দ ছিল, সেটাই থাকবে। তবে ভবিষ্যতে এ বরাদ্দ আরো বাড়ানো যায় কিনা এবং কতটা বাড়ানো যায়, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বেতার ও টিভিতে কোরআন তেলাওয়াত ও তাফসির প্রচার শুরু হয়। উল্লেখ্য, মুসলমান দেশগুলোর মধ্যে শুধু বাংলাদেশেই ব্যবস্থাটি চালু আছে।
তুরাগ পারের বিশ্ব ইজতেমা এতো বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হওয়াও বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে সম্ভব হয়েছিল। তদুপরি, বঙ্গবন্ধু তাবলিগ জামাতকে একটি অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে তাদের বার্ষিক সম্মেলন বা ইজতেমার জন্য টঙ্গীতে একটি সুবিশাল প্রাঙ্গণ বরাদ্দ দেন। এছাড়া তাবলিগ জামাতের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কাকরাইল মসজিদের সংস্কার এবং সম্প্রসারণের জন্য সরকারি জায়গা বরাদ্দের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছিলেন। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো একটি দেশে তাবলিগ জামাতের প্রচার কাজ সম্প্রসারণের সুযোগ হয়েছিল স্বাধীনতার কিছুকাল পরেই। একমাত্র বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই তখন এ দুরূহ কাজটি সম্ভব হয়েছিল। কারণ, মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ সহায়তা দেয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছিল হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে এখনও তাবলিগ জামাতের যে প্রচার কাজ চলমান, তার ভিত্তি তৈরি করে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে হজযাত্রীদের জন্য সরকারি তহবিল থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করেন, যেটা পাকিস্তান আমলে ছিল না। উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ থেকে হজ করতে যাওয়ার উপর সৌদি নিষেধাজ্ঞা ছিল। সৌদি বাদশাহ ফয়সাল বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন এবং বঙ্গবন্ধুর আমলেই ৬ হাজার ৬০০ জন হজ সম্পন্ন করেন।
বঙ্গবন্ধু কেবল দেশের ভেতরে ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতার সুনির্দিষ্ট ও দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহণ করেই চুপ করে ছিলেন না, এর পাশাপাশি বহির্বিশ্বে মুসলমানদের স্বার্থরক্ষা, সংকটকালে তাদের পাশে দাঁড়ানোসহ নানাবিধ কাজের মধ্য দিয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের পরিষেবা দিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আরব বিশ্বের পক্ষ সমর্থন করেন। ওইসময় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে যুদ্ধরত আরব দেশগুলোর সৈনিকদের জন্য ১ লাখ পাউন্ড চা ও ২৮ সদস্যের মেডিকেল টিম পাঠানো হয়। তখন বিভিন্ন দেশ থেকে যেসব মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের টিমটিই ছিল সবচেয়ে বড়।
আমাদের স্বাধীনতার লড়াইয়ের একটা পর্যায়ে এসে পাকিস্তান ও ভারত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধ মোটেও ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ছিল না। তা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধে সমগ্র মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে বৈরী মনোভাব ছিল। কারণ, তারা এমন পাকিস্তানি প্রচারণা বিশ্বাস করেছিল যে, মুক্তিযুদ্ধ ছিল ভারত প্ররোচিত ইসলামী সংহতি বিনষ্টকারী একটি অপপ্রয়াস। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সম্পর্কে মুসলিম বিশ্বের এই ধারণা পরিবর্তনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন এবং তাদের ভুল ভাঙাতে সফল হন। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানের লাহোরে ১৯৭৪-এর ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ওআইসির দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়। ফলে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দ্বার উন্মোচিত হয়।
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
পিতার যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইসলামের উন্নয়নে পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার আল-কোরআন ডিজিটালাইজেশনের ঘোষণা দিয়েছে। তাছাড়া কোরআনের বাংলা অনুবাদে গ্রন্থগুলোর ভুল সংশোধন ও ব্যাখ্যার ভিন্নতা পরিহার করে যথাসম্ভব অভিন্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এই নির্দেশ অনুযায়ী ইতোমধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনুবাদ সংশোধনের কাজও শুরু করে দিয়েছে। এছাড়া কোরআনের অনুবাদ ত্রুটিমুক্ত রাখতে একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেছেন, সৌদি আরব বা মিশরের আল আজহারের মতো বাংলাদেশে এমন একটি প্লাটফর্ম গড়া অভাবনীয় হলেও অসম্ভব নয়। কোরআন ডিজিটালাইজেশন ও ২০১৩ সালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর কোরআনের অনুবাদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত নির্দেশনার বাস্তবায়ন হলে ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসেবে ইতিহাসে স্থান পাবে।
মডেল মসজিদের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে আলেম-ওলামা, ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেছেন, মুসলিম অধ্যুষিত দেশ আমাদের। এখানে ইসলামের মূল্যবোধ ও চর্চা যেন ভালোভাবে হয়। ইসলামের মর্মবাণী যেন মানুষের কাছে পৌঁছায়। আমাদের প্রত্যাশাও সেটাই।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ইসলামের উন্নয়ন আসলে করা কতটুকু করেছে। তারা আরও দেখিয়ে দিয়েছে কোন সরকারের আমলে মসজিদ মাদ্রাসা বেশি নির্মাণ হয়, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়। সুতরাং তাঁর কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে মুসলমানদের মতো হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্যও জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে মডেল উপাসনালয় ও ধর্মীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করে দেওয়ার।
শেষ করবো ছোট্ট একটি আশাবাদকে সামনে রেখে। নিকট অতীতের বিভিন্ন সময়ে আমরা দেখেছি মসজিদের মাইক ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হয়, কিছু কিছু মসজিদ মাদ্রাসাকে একটি গোষ্ঠী জঙ্গিবাদ উস্কে দিতে ব্যবহার করছে- এমন অভিযোগও রয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদ, মাদ্রাসার মাইক ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে ব্যাপকভাবে তাণ্ডব-ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সারা দেশে গড়ে তোলা এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি যাবতীয় সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ রোধে ভূমিকা রাখলে এই প্রকল্প আরো স্বার্থক হবে বলে মনে করি।
লেখকঃ প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক