আজ ১১ জুন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আলোচিত দিন। এদিন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস। দীর্ঘ ১০ মাস ২৫ দিন কারাবন্দি থাকার পর ২০০৮ সালের এই দিন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত ‘বিশেষ কারাগার’ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তাকে ধানমন্ডির সুধাসদন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কারাগারে থাকাকালে শেখ হাসিনা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময় চিকিৎসার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তার মুক্তির দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। অনড় দাবির প্রেক্ষিতে তৎকালীন সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এই মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে আসে। বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের। তার নেতৃত্বেই বাঙালি জাতির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। সেই থেকেই তিনি আমাদের গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা। এর আগে ১৯৮১ সালের দেশে ফেরার পর ১৯৮৩, ১৯৮৫ এবং ১৯৯০ সালেও তিনি রাজনৈতিক কারণে কারাবরণ করেন। চিকিৎসা শেষে ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি তার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠিত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় তার নেতৃত্বে পরপর তিনবার মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জামায়াত-বিএনপি জোটের অপশাসনের বিরুদ্ধে জনদাবির প্রেক্ষিতে ক্ষমতায় বসে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ১৫ মার্চ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অসুস্থ পুত্রবধূকে দেখতে যুক্তরাষ্ট্র যান। তারপর থেকে দেশের ভেতরে ক্ষমতালোভী-উচ্চাভিলাষী একটি চক্র সরকারের সঙ্গে মিশে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। প্রথমে একজন ঠিকাদারকে দিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দেওয়া হয়। এফআইআর-এ নাম না থাকা সত্ত্বেও জামায়াত-শিবিরের দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। চাঁদাবাজির বানোয়াট ও কল্পিত মামলাটি দায়ের করা হয় একই বছরের ৯ এপ্রিল। সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলাটি আইনগতভাবে মোকাবিলার জন্যে তিনি সফর সংক্ষিপ্ত করে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে দেশে ফিরে আসার প্রস্তুতি নেন।
তৎকালীন সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল মতিন শেখ হাসিনাকে ফোন করে জানিয়েছিলেন, ‘তাড়াহুড়ো করে দেশে ফেরার প্রয়োজন নেই। বলা হয়, তিনি যেন তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষ করে নির্ধারিত সময়ে দেশে ফেরেন।’
প্রভাবশালী ওই উপদেষ্টা সাংবাদিকদের আরও বলেছিলেন, শেখ হাসিনার মর্যাদা ও সম্মানহানির কোনও কিছুই তার সরকার করবে না। এমনকি প্রেসনোট জারির আগের দিন ১৭ এপ্রিলও তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে না দেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত তার জানা নেই। আবার প্রেসনোট জারির পর সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, প্রেসনোটের এ প্রসঙ্গে তার কোন বক্তব্য নেই।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রেসনোটে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক ব্যক্তি উল্লেখ করা হয় এবং তার দেশে ফিরে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রেসনোট ইস্যু করার পর শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশের মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেন। একইদিন রাতে বাংলাদেশের মিডিয়ায় শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফলে দেশের কোনও টিভি চ্যানেল বা পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর কন্যার সেদিনের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি। সরকার তার ওপর নিষেধাজ্ঞার খবরটি দ্রুত বিভিন্ন সংস্থা ও কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়।
অন্যদিকে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করার পর উপদেষ্টা জেনারেল মতিন এবার সুর বদলে সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর দেশে ফিরলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২২ এপ্রিল, ২০০৭ বিশ্বের প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় দৈনিক শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত রিপোর্ট ছেপেছিল। ২৫ এপ্রিল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ শেখ হাসিনাকে বোর্ডিং পাস না দেওয়ার জন্যে দুঃখপ্রকাশ করেছিল। তারা জানিয়েছিল, বাংলাদেশ এভিয়েশন অথরিটির এক লিখিত নোটিশের কারণেই এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। ২০০৭ সালের ৩ মে বিশ্বখ্যাত পত্রিকা ‘আউট লুক’-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে তাঁর সংগ্রামের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ব্যক্ত করেছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেছিলেন, ‘অসাংবিধানিক সরকার আমার জনপ্রিয়তা সহ্য করতে পারছে না। এই দেশে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে, মাকে হত্যা করা হয়েছে, আমার ভাইদের ও পরিবারের বেশকিছু সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও আমি আমার দেশে ছিলাম, জনগণের অধিকারের জন্যে সংগ্রাম করেছি। [তথ্যসূত্র : সে সময়কার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক]
৭ মে, ২০০৭ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে আরও একটি অনন্য দিন। দিনটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দ্বিতীয়বার শেখ হাসিনার স্বদেশে ফেরার দিন। প্রথম ফিরে আসার দিন ছিল ১৭ মে ১৯৮১। আর ২০০৭ সালের এদিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা ও মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে তাঁর ঐকান্তিক দৃঢ়তা, সাহস ও গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয়। ৭ মে তিনি ঢাকায় ফিরে এলে লাখো জনতা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মিছিল শোভাযাত্রা সহকারে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে নিয়ে আসে। বিধি-নিষেধ থাকা সত্ত্বেও লাখো জনতাকে রোখা যায়নি সরকারের শত প্রচেষ্টায়ও। দেশে ফিরে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় শুরু হয় তাঁর নবতর সংগ্রাম। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফিরে আসতে না পারলে এদেশে রাজনীতিতে নিষ্ঠুর-নৈরাজ্য বিরাজ করতো। অগণতান্ত্রিক সরকার অতীতের মতো দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার সুযোগ করে নিত।
রাজনৈতিক কর্মী নয়, একজন সংবাদকর্মী হিসেবে সে সময় শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসার আন্দোলনে অন্যদের মতো আমিও সম্পৃক্ত ছিলাম। আমি তখন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা প্রকাশিত ও সম্পাদিত সাপ্তাহিক বিচিত্রায় কাজ করি। অফিস ছিল ধানমন্ডির ৩২ নং সড়কে। সেখান থেকে বেবী আপার (প্রয়াত সাংবাদিক বেবী মওদুদ) সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেশে ফেরার নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে একটি ‘ট্যাবলয়েড’ (রঙিন) প্রকাশ করা হয়, সঙ্গে কিছু লিফলেটও। পরবর্তী সময়ে আরও কিছু লেখা সংযোজন করে এটি গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করা হয়। ট্যাবলয়েডে অন্যদের মতো আমারও একটি প্রতিবেদন ছিল। প্রকাশের পর এটি প্রচারে আমরা বিচিত্রা কর্মীরা নানাস্পটে কাজ করেছিলাম।
২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ইয়াজউদ্দিন-ফখরুদিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পূর্ব মুহূর্তে জাতির উদ্দেশ্যে তিনি একটি চিঠি লিখে যান; যা পরদিন জাতীয় দৈনিকগুলো ফলাও করে প্রকাশ করে। আমার সুভাগ্য হয়েছিল শতবাধা পেরিয়ে চিঠির কপি বিভিন্ন গণমাধ্যমে পৌঁছানোর কাজে অংশ নেয়ার। সেদিন শেখ হাসিনা নির্ভীক চিত্তে জাতির উদ্দেশ্যে অবিস্মরণীয় উক্তি করেছিলেন- ‘...অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। যে যেভাবে আছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। সত্যের জয় হবেই। আমি আছি আপনাদের সঙ্গে, আমৃত্যু থাকব। আমার ভাগ্যে যা-ই ঘটুক না কেন আপনারা বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যান।’
সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা হলো, ফকরুদ্দিন সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই। আর বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় ৫৮ দিন পর ৩ সেপ্টেম্বর। অথচ জামায়াত-বিএনপি সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে দেশের সব পেশার মানুষ তখনও ক্ষুব্ধ ও ঐক্যবদ্ধ ছিল। সে সময় বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক অংশীদার মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইব্রাহিমের ভাষায়, ‘হাওয়া ভবন দুর্নীতির ওয়ান স্টপ সার্ভিস।’ অথচ সেই সরকারের প্রধানকে আগে গ্রেপ্তার না করে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলো! শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে তখন দেশের সর্বস্তরের মানুষ একট্টা হয়ে গিয়েছিল। ঢাকা শহরের প্রায় ২৫ লাখ মানুষ শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর করেছিল। তা এক সময় সারাদেশে ছড়িয়ে যায়। তখন একটা বিষয় স্পষ্ট ছিল যে, অগণতান্ত্রিক সরকারের প্রধান টার্গেট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
বিএনপি-জামায়াত জোটের অপশাসনের কারণেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ওয়ান ইলেভেন এসেছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের একতরফা সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবরণে গঠিত হয় সেনা-নিয়ন্ত্রিত ‘অন্তর্বতীকালীন সরকার’। সরকারের প্রায় দুই বছরে সংস্কারপন্থী নামে দল ভাঙা-দল গড়ার ‘খেলা’ও ওই সময়ে দেখেছে দেশের জনগণ।
শেখ হাসিনা তাঁর প্রায় ১১ মাসের কারাজীবনে দেশ ও মানুষের মুক্তির চিন্তা করেছেন। এক স্মৃতিচারণে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার যে পরিকল্পনা, তা সেনা-নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কারাগারে নিঃসঙ্গ দিনগুলোতেই তৈরি করেছিলেন তিনি। শত বাধা-বিপত্তি-প্রতিকূলতা ও হত্যার হুমকি উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা উন্নয়ন তথা সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। আজকের গণতান্ত্রিক ও জনমুখী বাংলাদেশকে অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগোতে হয়েছে, হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। শত বাধা ও ষড়যন্ত্র পাশ কেটেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে এক সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন। এখনও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গভীর ষড়যন্ত্রের পরও এগোচ্ছে দেশ। শেখ হাসিনা চারবার দেশ পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল।
সব শর্তপূরণ করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। অর্থনৈতিক অনেক সূচকে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে। চলতি মাসেই দ্বার খুলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। মেট্রোরেলসহ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় দৃশ্যমান হচ্ছে আমূল পরিবর্তন। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনায় একাকার।
মনে রাখতে হবে, সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যার মুক্তি না হলে অগণতান্ত্রিক সরকার অতীতের মতো দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতো, স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না। দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল হতো না। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। এগোতো না উন্নয়নের ধারা। সে কারণে বাঙালি ও বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষিতে আজকের দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এই দিনটি কেবল শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসই নয়, এটা গণতন্ত্রেরও মুক্তি দিবস।
লেখক: সাংবাদিক