বাঙালির চরিত্র নিয়ে অনেকে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তবে, যে বিশেষণটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় সেটা হলো ‘হুজুগে বাঙালি’। বিশেষ কোনও ঘটনা নয় অথবা অতি সামান্য কিছু ঘটেছে— এমন বিষয়কে বাছবিচার না করেই মেতে ওঠা। আর এ ধরনের কোনও উন্মাদনা একবার সৃষ্টি হলে, সেটার সমাধান না করে ঘটনার ‘বারোটা বাজিয়ে ছাড়া’। এখন যেমন চলছে রাসেল’স ভাইপার উন্মাদনা। দেশব্যাপী নতুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, ভারত থেকে আসা বিষধর সাপ রাসেল’স ভাইপার নাকি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। মানুষও গুজবে কান দিচ্ছে, কিছুই শুনতে নারাজ। সাপ দেখলেই মেরে ফেলার খবর আসছে গণমাধ্যমে। রাসেল’স ভাইপারের নামে নির্বিষ ঢোড়া, ঘরগিন্নি, দাঁড়াশ, গ্রিন ওয়াটার স্নেক, চিকন সাপ ও ফ্লাইং স্নেক প্রজাতির মত সাপদের হত্যা চলছে।
যুগের পর যুগ বন্যপ্রাণীদের নিছক উৎপীড়ন মনে করেছে মানুষ। কখনও ঠান্ডা মাথায়, কখনও দলবেঁধে মহাউল্লাসে তাদের হত্যা করা হয়। আমাদের দেশে একটি শেয়াল বা মেছোবাঘের মত প্রাণী দেখলে সবাই লাঠি নিয়ে তেড়ে যায়, হত্যা করে। অতি আধুনিকতা-উন্নয়নের নামে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের সর্বনাশ ঘটে চলেছে। আর আঘাতটা যখন সরাসরি প্রকৃতির ওপর আসে, সেক্ষেত্রে সে যে কত নিষ্ঠুর ও নির্মম হতে পারে, সেটা এখন বিশ্ববাসী হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করা শুরু করছে।
কোন কিছুই অনর্থ সৃষ্টি নয়। পরিবর্তনশীল প্রকৃতির সাথে টিকে থাকতে না পেরে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের মত আমাদের দেশেও বহু পশুপাখির বিলুপ্ত ঘটছে, দেখা দিচ্ছে বিপর্যয়। দেশের প্রকৃতি যখন অনেকটাই বন্যপ্রাণী এবং সাপশূন্য, তখন গণহারে সাপ হত্যা প্রকৃতি বিজ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলেছে। আমরা নিজেরাই নতুন করে কোনও বিপদ ডেকে আনছি কি না, আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।
উন্নয়ন প্রয়োজন, তবে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংস করে নয়। প্রকৃতির আপন গতিতে বাধার সৃষ্টি করলে, সেটা যে কতটা ভয়ানক বিপদ আনতে পারে, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো চীনের চড়ুই পাখি নিধনের গল্প। সমাজতান্ত্রিক চীনের বিপ্লবী নেতা মাও সে তুং, যাকে প্রায়শই সে দেশের জাতির জনক বলা হয়। চীনের উন্নয়নে মরিয়া হয়ে বিভিন্ন ধরনের আকাশচুম্বী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৫৮-১৯৬১ সময়কালে মাও সে তুং স্লোগান তুললেন, দু’পায়ে হাঁটা। অর্থাৎ, একই সময়ে শিল্প ও কৃষির উন্নয়ন। শিল্প ও কৃষি খাতে ইংল্যান্ড, আমেরিকাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিশাল কর্মযজ্ঞ ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। ঐ সময় কথিত একদল বিশেষজ্ঞরা বললেন, বছরে প্রতিটি চড়ুই পাখি খেয়ে ফেলে প্রায় ৪.৫ কেজি শস্যদানা। তাহলে প্রতি এক মিলিয়ন চড়ুই পাখি হত্যা করতে পারলে, আনুমানিক ৬০ হাজার মানুষের খাদ্য সংস্থান করা সম্ভব হবে।
মাও সে তুং সেই হঠকারী পরামর্শ গ্রহণ করলেন। তিনি ১৯৫৮ সালে Four Pest Campaign-এর ডাক দিলেন- মশা, ইঁদুর, মাছি ও চড়ুই নিধন অভিযানে। চড়ুই নিধনের নাম দেওয়া হলো ‘Eliminate sparrows Campaign’ (Xiamie Maque Yundong)- চড়ুই নির্মূল অভিযান।
মাও সে তুংয়ের কথা মানে বেদবাক্য। দেশপ্রেম, লাল পতাকা নিয়ে দলে দলে চড়ুই নিধন কর্মসূচিতে ঝাঁপিয়ে পড়লো সাধারণ মানুষ। গ্রামবাসী, কৃষক, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি অফিসের কর্মী, কারখানার শ্রমিক, সেনা, পুলিশ সবাই ছোট্ট পাখির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে গেল। বেশি হত্যায় পুরস্কারেরও ব্যবস্থা ছিল। তাড়া করে ও বিষ দিয়ে মারা, বাসা ভাঙা, ডিম ভাঙা, ছানা মেরে ফেলা, গুলি করে আর অন্য কোনভাবে হোক; যে যেভাবে পারে চড়ুই মারা শুরু করল। চড়ুই যেন স্থির হয়ে বসতে না থাকতে পারে সেজন্য ড্রাম, থালা, বাটি ইত্যাদি বাজানো হতো। এক সময় উড়তে উড়তে ক্লান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পাখিগুলো নিচে পড়লে তাদের হত্যা করা হত। আবার বিকট শব্দের কারণে চড়ুইরা প্রাণত্যাগ করত।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কমপক্ষে ৬০ কোটি চড়ুইয়ের গণহত্যা ঘটেছিল এবং প্রায় চড়ুইশূন্য হয়েছিল গণচীন। পাখি নিধনের নেশা এমনভাবে জেঁকে ধরেছিল যে, শুধু চড়ুই নয়, অন্যান্য পাখির সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছিল। হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলাফল ছিল, ১৯৫৯ সাল থেকে শুরু হয় নজিরবিহীন মহাদুর্ভিক্ষ। যে দুর্ভিক্ষ ‘দ্য গ্রেট ফেমিন’ নামে পরিচিত। কমপক্ষে পাঁচ কোটি মানুষ প্রাণ হারায় সেই মহাদুর্ভিক্ষে। ‘Cannibalism’- নরমাংস ভক্ষণের ঘটনাও বহু জায়গায় ঘটেছিল। দুর্ভিক্ষের কারণ যেমন আংশিক ছিল প্রাকৃতিক খরা, তেমনি ছিল মনুষ্যনীতি, চড়ুই পাখি নিধন।
শস্যদানার পাশাপাশি চড়ুই ও অন্যান্য পাখি নানা ধরনের পোকামাকড়ও খায়। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় জ্যামিতিক হারে বেড়ে যায় পোকামাকড়ের সংখ্যা। পঙ্গপালে ছেয়ে যায় দেশ। শস্য বাঁচানোর জন্য অনেক কিছু করা হলো, শস্য গিয়েছিল পোকামাকড়ে পেটে। বাধ্য হয়ে মাও সে তুং নীতি আংশিক পরিবর্তন করেন। ১৯৬০ সালে Four Pest Campaign-এ চড়ুইকে রেহাই দিয়ে তার স্থলে ছারপোকাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর চড়ুইশূন্য চীনে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে কয়েক লাখ চড়ুই আমদানি করতে বাধ্য হয়েছিল।
প্রাণী বিজ্ঞানীদের মতে, বাস্তুতন্ত্র বা ইকোসিস্টেম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন জীবসমষ্টি পরস্পরের সাথে এবং তাদের পারিপার্শ্বিক জৈব ও অজৈব উপাদানের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জীবনধারা গড়ে তোলে। এটি একটি চক্র। এ চক্রে বেঁচে থাকার জন্য একটি প্রাণী অপর প্রাণীর ওপর নির্ভর করে। যদি এ চক্রের কোনও একটি প্রাণী সরে যায় বা বিলুপ্ত ঘটে, তাহলে পুরো ব্যবস্থাই উল্টাপাল্টা হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিমাত্রায় নগরায়ন, বনাঞ্চল কেটে ফসলি জমি বা ঘরবাড়ি তৈরি করার কারণে বাস্তুতন্ত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে এবং প্রকৃতির খাদ্যশৃঙ্খল একেবারেই ভেঙে পড়েছে। অনেক প্রজাতির পশুপাখি ও মাছের বিলুপ্তি ঘটেছে আবার অনেক কিছু বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, নতুন নতুন প্রজাতির আবির্ভাব হচ্ছে। যেমন, নানা ধরনের বর্জ্য ও আবর্জনার কারণে বুড়িগঙ্গা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি জাতের সব মাছ। দূষিত নদীতে নতুন আতঙ্ক সাকার মাছ। এই মাছ আবর্জনা ও ময়লা খেয়ে জীবনধারণ করতে পারে। জাল ফেললেই উঠে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে খাওয়ার অযোগ্য বিষাক্ত সাকার মাছ। দেশি জাতের মাছ একদিকে যেমন প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারছে না, অন্যদিকে যা থাকছে তা যাচ্ছে রাক্ষুসে মাছ সাকারের পেটে।
রাসেল’স ভাইপার বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া নামে পরিচিত। শরীরের বিভিন্ন স্থানে চন্দ্রাকৃতি ছোপ ছোপ গোল দাগের জন্য এ ধরনের নামকরণ হয়ে থাকতে পারে। এটা ভারতীয় উপমহাদেশের সাপ, সেই অনাদিকাল থেকে এই বাংলায় আছে। মূলত বরেন্দ্র অঞ্চলে বেশী দেখা যায়। ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত প্রথিতযশা জীববিজ্ঞানী এবং সর্প বিশেষজ্ঞ ড. মো. আলী রেজা খানের ‘বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী’ বইয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চন্দ্রবোড়া সাপের অস্তিত্বের কথা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের কুষ্টিয়া, যশোর এবং খুলনাতেও বেশ পাওয়া যায়। সুন্দরবন সংলগ্ন জনপদের বয়োজ্যেষ্ঠ লোকদের মুখে অনেক চন্দ্রবোড়া সাপের গল্প শোনা যায়।
তবে এক সময় দেশের প্রকৃতি থেকে চন্দ্রবোড়া আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে শুরু করে। অনেকে ধারণা করেছিল, বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে প্রকৃতিতে আবার এদের দেখা যাচ্ছে। দেশের প্রকৃতি যখন অনেকটাই বন্যপ্রাণী এবং সাপশূন্য; তখন প্রশ্ন আসতে পারে, হারিয়ে যাওয়া চন্দ্রবোড়া কী করে আবার ফিরে এলো। হয়ত অতীতের চন্দ্রবোড়া আসলে কখনোই হারিয়ে যায়নি। লোকচক্ষুর অন্তরালে আত্মগোপনে ছিল। বসবাসের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় আবার ওরা স্বাভাবিক সংখ্যায় ফিরে আসছে। বেজি, গুঁইসাপ, বাগডাশ, গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, মেছো বিড়াল, তিলা নাগ ঈগল, চিল, বাজপাখি, কালকেউটে, শঙ্খিনী, সারস, মদনটাক আর হুতুম প্যাঁচার প্রিয় খাদ্য ছিল চন্দ্রবোড়া। তাদের জীবনও বড়ই বিপন্ন হয়ত, যে কারণে বাড়তে পারে চন্দ্রবোড়ার সংখ্যা।
আবার অনেকে মনে করছেন, আসলে চন্দ্রবোড়া সংখ্যা দেশে সেভাবে বাড়েনি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে পদ্মানদীর তীরবর্তী কয়েকটি জেলা ও চরাঞ্চলে চন্দ্রবোড়া দেখা যাওয়ার কতিপয় ঘটনা নিয়ে দেশব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে চন্দ্রবোড়া সাপের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে বন বিভাগ, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ও সর্পবিশারদদের বিশেষ গবেষণা বা সার্ভের প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট ভেনম রিসার্চ সেন্টারের তথ্য বলছে, দেশজুড়ে প্রতি বছর প্রায় চার লাখ তিন হাজার মানুষ এবং আড়াই হাজার গবাদিপশু সাপের দংশনে শিকার হয়। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ মারা যায়। এসব বিষধর সাপের কামড়ে মানুষের প্রাণ হারানোর প্রধান কারণ হলো, সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না নেওয়া। বেশিরভাগ লোক যতদ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে না গিয়ে ওঝার কাছে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করেন। অন্যান্য বিষধর সাপের মত রাসেল’স ভাইপারের বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম দেশের সরকারি হাসপাতালে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থা ও পরিবেশ অনুযায়ী এলাকাভেদে নানা রকম সাপের উপস্থিতি দেখা যায়। সাপ ইঁদুর ও ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে যেমন ফসল রক্ষা করে, তেমনই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সর্প বিশেষজ্ঞদের মতে, চন্দ্রবোড়া বিষধর, তবে যেভাবে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে, তেমন আক্রমণাত্মক নয়। অন্যান্য সাপের মত আগ বাড়ায়ে আক্রমণ করে না। বিরক্ত হলে সে ‘হিস হিস’ শব্দ করে তাড়িয়ে দিতে চায় মানুষকে। চন্দ্রবোড়ার বিষ থেকে ওষুধও তৈরি হয়।
রাষ্ট্রের উদ্যোগের পাশাপাশি আমাদের প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন হতে হবে। বন্যপ্রাণী বা সাপ দেখলেই অকারণে তা হত্যা ও এদের আবাসস্থল ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকতে হবে। চন্দ্রবোড়া পাওয়া গেলে বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে তাদের দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়ায় ব্যবস্থা করা যেতে পারে। দেশের প্রচলিত বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী সাপ মারা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমাদের পূর্বপুরুষেরা চন্দ্রবোড়া, গোখরো, বাঘ কুমিরের সাথে লড়াই করে টিকে ছিল। এখন তারা প্রায় বিলুপ্ত। যা-ও দু’একটি আছে, তা নিয়ে আমরা কেন আতঙ্কিত হব?
আশার কথা, বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় রাসেল’স ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানতা ও সচেতনতা ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে। সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল বা নিকটস্থ বনবিভাগের কার্যালয়কে অবহিত করার কথা বলা হয়েছে।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক ও লেখক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত বিড়াল গল্পের কথা বলা যেতে পারে, ‘আমরা প্রাণী, তোমরাও প্রাণী, তোমাদের প্রাণ আছে, আমাদেরও প্রাণ আছে, পৃথিবীর সবকিছু তোমাদের একার জন্য নয়, তবে কিছু হলে তোমরা মানুষ লাঠি নিয়ে তেড়ে আস কেন’।
আধুনিকতা ও উন্নয়ন যা-ই বলি না কেন, কোনভাবেই প্রকৃতি ও জীববৈচিত্রকে অবহেলা করা যাবে না। মাও সে তুং’র মত বিপ্লবী নেতা ‘ধরা খেয়েছিল’ ছোট্ট চড়ুই পাখির কাছে। আমরা যেন সবাই বিষয়টি মাথায় রাখি।
লেখক: সাংবাদিক