একটি দেশ ও জাতি গঠনে ভাষার ভূমিকা অপরিসীম। কারণ ভাষা মানুষকে আপন করে। আবার এই ভাষা মানুষকে পর করে। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরেও বাংলা একাডেমি বাংলা বানানের সুরহা করতে পারেনি। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে পর্যাপ্ত জনমুখী ভূমিকা রাখতে পারেনি। বাংলা একাডেমির স্বায়ত্বশাসন নিয়ে প্রশ্ন, গবেষণা পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত না হওয়া, অনুবাদ সাহিত্য শুধু ইংরেজিতে সীমাবদ্ধ থাকা, বাংলা একাডেমিতে চাকরি করে বাংলা একাডেমির পুরস্কার গ্রহণ করা, অযোগ্য ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করা এবং পুরস্কৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ওঠা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে! তাই এই মুহূর্তে প্রয়োজন বাংলা একাডেমির আমূল সংস্কার।
বাংলা একাডেমির স্বায়ত্তশাসন
ভাষা আন্দোলনের পর বাংলা ভাষার অস্তিত্ব রক্ষা এবং বিকাশে বাংলা একাডেমির মতো গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা প্রবল হয়ে ওঠে। যুক্তফ্রন্ট সরকার পাকিস্তানের ক্ষমতায় এলে ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠা পায় বাংলা একাডেমি। ১৯৫৭ সালে ৩ এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদে ‘দি বেঙ্গলি একাডেমী অ্যাক্ট ১৯৫৭’ পাস করে বাংলা একাডেমিকে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ‘বাংলা একাডেমি আইন, ২০১৩’ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।
বাংলা একাডেমি আইনে বলা হয়েছে, ‘একাডেমিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ দেওয়া; একাডেমির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রয়োজনে নীতি নির্ধারণ; সাহিত্য, সংস্কৃতি, গবেষণা ও প্রযুক্তিসংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন এবং সরকার বা সাধারণ পরিষদের দেওয়া দায়িত্ব পালন হবে নির্বাহী পরিষদের কাজ’। বাংলা একাডেমি আইনের ২৩ (১) উপধারা অনুযায়ী একাডেমির একটি নির্বাহী পরিষদ থাকিবে যা নিম্নরূপ: (ক) মহাপরিচালক, পদাধিকারবলে, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন; (খ) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা; (গ) অর্থবিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা; (ঘ) কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা, ভাষাতত্ত্ব ও ইংরেজি বিভাগ এবং বিজ্ঞান অনুষদ হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন করিয়া সর্বমোট চারজন অধ্যাপক; (ঙ) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও একজন বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ; (চ) নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক মনোনীত একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও একজন বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী; (ছ) ফেলোগণ কর্তৃক নির্বাচিত তিনজন ফেলো; (জ) সাধারণ পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত চারজন সদস্য; (ঝ) সচিব, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন।
আইন অনুযায়ী বাংলা একাডেমির নির্বাহী পরিষদ হওয়ার কথা ১৯ সদস্যের। যেখানে ফেলোদের মাধ্যমে তিনজন এবং সাধারণ সদস্যদের মাধ্যমে চারজন নির্বাচিত হওয়ার কথা। দীর্ঘদিন সেই নির্বাচন না হওয়ায় পরিষদে এখন আছেন ১২ জন। মহাপরিচালকসহ তাদের দুজন একাডেমি থেকেই এসেছেন পদাধিকারবলে। দুজনকে এই নির্বাহী পরিষদই মনোনীত করেছে, বাকি সবাই সরকার বা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মনোনয়নে পরিষদে এসেছেন। তাই নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন হলে নির্বাচিত সদস্যের পক্ষে নির্বাহী পরিষদের সভায় জোরালো ভূমিকা রাখা সম্ভব ছিল। কিন্তু ২৫ বছর ধরে নির্বাচন না দিয়ে সেই সুযোগ বন্ধ করে রেখেছে বাংলা একাডেমি। তাছাড়া বিগত ১৫ বছর যেভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় বাংলা একাডেমির ফেলো নির্বাচন করা হয়েছে, তারা যদি ভবিষ্যতে আরও ৩ জন নিয়োগও দেন, তাও ফ্যাসিবাদের ছায়া এই পরিষদ থেকে কতটুকু যাবে? তাছাড়া, পদমর্যাদার ক্রম অনুযায়ী, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের অবস্থান অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ে। একজন অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার মানুষকে কতজন প্রশাসন ক্যাডারে যুক্ত অতিরিক্ত সচিব, সচিব ও সিনিয়র সচিব পর্যায়ে কথা শুনতে হয়ে বা সহ্য করতে হয়, তা সহজেই অনুমেয়। মহাপরিচালক নিয়োগ প্রক্রিয়ার সংস্কার করার জন্য সাধারণ পরিষদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে বাংলা একাডেমির সভাপতি ও মহাপরিচালক নির্বাচিত হতে পারে। অথবা সাধারণ পরিষদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাহী পরিষদ গঠিত হতে পারে। আর নির্বাহী পরিষদের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও মহাপরিচালক নির্বাচিত হবে। এর মাধ্যমে নির্বাচিত সভাপতি ও মহাপরিচালক সাধারণ সদস্যদের নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন। তিনি চাইলেও ক্ষমতাসীনদের লেজুরবৃত্তি করতে পারবেন না। এভাবেই তিনি জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে মনোযোগী হবেন। আর এর মাধ্যমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আছরমুক্ত থাকবে বাংলা একাডেমি।
গবেষণা
বাংলা একডেমি বা যে কোনো একাডেমির মূল দায়িত্ব হচ্ছে মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশ করা। বাংলা একাডেমি মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশের পরিবর্তে যেসব বের করছে, সেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর তিন খণ্ড রচনাবলি বেরিয়েছে ১৯৯৪–৯৫ সালে। শহীদুল্লাহর আরও পাণ্ডুলিপি জমা দেওয়া হয়েছিল বহু বছর আগে। সেগুলো তারা হয় হারিয়ে ফেলেছে, অথবা খুঁজে পাচ্ছে না। বাংলা ভাষার আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখক আছেন, যাদের রচনাবলি তারা এখনো প্রকাশ করেনি। যাদের প্রকাশ করেছে সেগুলো আউট অব প্রিন্ট। নতুন করে ছাপছে না। তাছাড়া, বাংলা একাডেমির গবেষণা জার্নাল নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে না।
ব্যবহারিক সহজ অভিধান ও ডিজিটাল অভিধান
বাংলা একাডেমি ভাষা ও সংস্কৃতির অগ্রগতি আর বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষে মূল ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু বহুব্যবহার উপযোগী ব্যাকরণসিদ্ধ কোনো ডিজিটাল অভিধান আমাদের নেই। সেক্ষেত্রে বাংলা একাডেমি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি লাগসই কর্মযজ্ঞের কথা বিবেচনা করে দেখতে পারে। বাংলা একাডেমির আইনের ধারা ১১ তে বলা হয়েছে যে ‘বাংলা ভাষা প্রমিতকরণ ও উহার উৎকর্ষ সাধন এবং বাংলা ভাষার অভিধান প্রণয়নের জন্য একাডেমি মুখ্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে গণ্য হইবে’। তবে বাংলা একাডেমি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন পত্রিকা কীভাবে নিজস্ব বানানরীতি পত্রিকায় ব্যবহার করে। আমাদের বানানরীতি কি একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে আর কখনো আনা হবে না? আমরা ভাষা প্রকাশে কখনো পরিণত হবো না বানানের বিতর্কের কারণে।
অনুবাদ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যেতে পারে অনুবাদ চর্চার মধ্য দিয়ে। বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠতম সাহিত্যকর্মগুলো অন্যভাষায় অনুবাদ এবং আন্তর্জাতিক প্রকাশনার মধ্য দিয়ে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন। এ দেশে আন্তর্জাতিক সাহিত্য বিনিময়ের মাধ্যম ইংরেজি থেকে বাংলা এবং বাংলা থেকে ইংরেজি। ভারতবর্ষসহ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সংস্কৃতি, ইতিহাস, ভৌগোলিক এবং অর্থনৈতিক জীবনযাত্রা কাছাকাছি হবার কারণে আমাদের বইয়ের বাজার সৃষ্টিতে এই রাষ্ট্রগুলো অগ্রাধিকার পেতে পারে। এশীয় অঞ্চলের প্রধান প্রধান ভাষা বিশেষ করে আরবি, ফার্সি, উর্দু, তামিল, নেপালি, সিংহলি, বার্মিজ, থাই, চীনা, কোরীয়, জাপানিজ ভাষা সাহিত্যের সঙ্গে অনুবাদের মাধ্যমে আমাদের কার্যকর বিনিময় সম্ভব। এর জন্য আমরা দেশে-বিদেশের অনুবাদকদের সঙ্গে কতটা যোগাযোগবলয় সৃষ্টি করতে পেরেছি তা অনেক বড়ো প্রশ্ন?
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার নিয়েও রয়েছে বিস্তর প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের সুরাহা করার জন্যে পুরস্কার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা এবং নিয়ম-নীতিকে প্রাধান্য দেওয়া জরুরি। প্রতিবছর পুরস্কার ঘোষণার সময় প্রতিটি পুরস্কার কাকে এবং কেমনতর সাহিত্যকর্মের জন্যে দেওয়া হলো, পুরস্কার কমিটির তরফে তার একটা লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করা জরুরি। একইসঙ্গে পূর্বে ঘোষিত পুরস্কারগুলোর পেছনের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার দলিল-দস্তাবেজ অবমুক্ত করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা যায়। তাছাড়া, একাডেমিতে যারা কর্মরত আছেন, তারাও লাইন ধরে পুরস্কার নিচ্ছেন। ফরাসি একাডেমি, সুইডিশ একাডেমি, দিনেমার একাডেমি কিংবা দিল্লির সাহিত্য একাডেমিতে খোঁজ নিয়ে দেখুন এরকম দৃষ্টিকটু রেওয়াজ কোথাও আছে কিনা। গতবছর ফোকলোর বিভাগে পুরস্কারপ্রাপ্ত একজনের একটি বই নিয়ে ‘চৌর্যবৃত্তির’ অভিযোগ তুলে তার পুরস্কার বাতিলের দাবি উঠেছিল!
সাহিত্য পুরস্কার নীতিমালার ফোকর
যে নীতিমালার মাধ্যমে বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেওয়া হয়, গত এক যুগে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রতি বছর ২০ জানুয়ারির মধ্যে দেশবরেণ্য সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, একাডেমির মহাপরিচালক এবং একাডেমির দুজন নির্বাহী পরিষদ সদস্যের সমন্বয়ে ৭ সদস্যের ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটি’ গঠন করবে। কমিটি ‘প্রাপ্ত তথ্যসমূহ বিবেচনা করে ঐকমত্য ও সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে’ পুরস্কার দেওয়ার জন্য তাদের সুপারিশ করা নামের তালিকা বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদের সভাপতির কাছে পাঠাবে। এরপর নির্বাহী পরিষদের সভাপতি উপস্থিত সদস্যদের ‘ঐকমত্য/সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে’ পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করবেন।
নীতিমালা অনুযায়ী, পুরস্কার কমিটির সভাপতি হন একাডেমির মহাপরিচালক। নির্বাহী পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে থাকা একাডেমির মহাপরিচালকই পরে বিচারক দলের প্রধানের দায়িত্বে থাকেন। ফলে পুরস্কারের প্রাথমিক মনোনয়ন থেকে শুরু করে চূড়ান্ত বিচার প্রক্রিয়ায় একাডেমির মহাপরিচালক এবং নির্বাহী পরিষদের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ ওই নীতিমালার মধ্যেই করে দেওয়া হয়েছে। অথচ বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জুরি বোর্ড গঠন করা যেতে পারে। যার সদস্য হবেন শিল্প-সাহিত্য অঙ্গনের খ্যাতিমান মানুষেরা। জুরি বোর্ড যাদের চূড়ান্ত করবে, সেটি একাডেমির নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে মহাপরিচালক সবাইকে জানিয়ে দেবেন। এটাই তো হওয়া উচিত।
বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা
বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত পত্রিকাগুলো নিয়েও নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। বাংলা একাডেমির পত্রিকায় দিনের পর দিন একচেটিয়া কবিতা, গল্প, উপন্যাস ছাপানোর চেয়ে সমালোচনা সাহিত্যে বিশেষ করে, বিতর্ক, দেশ-বিদেশের লেখালেখি নিয়ে তুলনামূলক আলোচনাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দরকার আছে।
বইমেলা
বইমেলার আয়োজনের কাজটি বাংলা একাডেমি প্রকাশনা সমিতির কাছে ছেড়ে দিতে পারে। অভিযোগ রয়েছে বইমেলায় স্টল পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে বাংলা একাডেমির অনেক কর্মকর্তা তাদের ‘অখাদ্য বই’ প্রকাশকদের প্রকাশ করতে বাধ্য করেন। বইমেলা চলাকালীন অনুষ্ঠানাদি, সেমিনার, সংলাপের মতো বিষয়গুলো বাংলা একাডেমির তত্ত্বাবধান থাকতে পারে। দুনিয়ার কোনো দেশের একাডেমিই মেলা আয়োজন নিয়ে এতো ব্যতিব্যস্ত থাকে না।
তাছাড়া, বাংলা একাডেমির কর্মক্ষমতা নিয়েও পর্যালোচনা করা যেতে পারে। স্বাধীনতার পর মযহারুল ইসলাম মহাপরিচালক হিসেবে বাংলা একাডেমির দায়িত্ব নেয়ার পর সারাদেশ থেকে বেশকিছু মেধাবী তরুণ প্রতিভাকে বাংলা একাডেমিতে যুক্ত করে একাডেমির কর্মক্ষমতার আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন। বর্তমান একাডেমির কর্মক্ষমতা বাড়াতে ও জুলাই বিপ্লবের চেতনা অম্লান করে রাখতে জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি নিয়ে প্রকশনা, পত্রিকা প্রকাশ ও গবেষণার জন্য এমন কর্মক্ষম মেধাবী তরুণদের নিয়োগ দিতে পারে বাংলা একাডেমি। আর না হয় বিপ্লব পরবর্তী ইতিহাস রক্ষায় এই একাডেমির ভূমিকা হবে সামান্য। শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিবর্তন করলেই সংস্কার সম্ভব নয়। প্রকৃত সংস্কারের মাধ্যমে বাংলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী হলে তবে তা জনমানুষের ভাষা বুঝতে পারবে।
লেখক : কবি ও গবেষক