আদিত্য সারপোতদার নির্মিত আলোচিত বলিউড সিনেমা ‘মুনজ্যা’। ভারতীয় লোককাহিনির প্রেরণায় সুপার ন্যাচারাল হরর-কমেডি ঘরানার এ সিনেমা কয়েক মাস আগে মুক্তি পায়। এ সিনেমায় ‘রুকু’ চরিত্রে অভিনয় করেন ভাগ্যশ্রী লিমায়ে। মুক্তির পর বক্স অফিসে যেমন সাফল্য পায়, তেমনি ভাগ্যশ্রীও দারুণ প্রশংসা কুড়ান।
বলা যায়, ‘মুনজ্যা’ সিনেমা বদলে দিয়েছে ভাগ্যশ্রীর ভাগ্য। কারণ সিনেমাটির কারণে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ভাগ্যশ্রী। তার ইনস্টাগ্রামে অনুসারীর সংখ্যাও রাতারাতি বদলে গেছে। বর্তমানে এ মাধ্যমে তাকে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষ অনুসরণ করেন।
১৯৯৩ সালের ৭ নভেম্বর ভারতের মহারাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন ভাগ্যশ্রী। এ শহরেই স্কুল-কলেজের পড়াশোনা শেষ করেন। কলেজের গণ্ডি পার করার পর চাকরির সন্ধান করেন ভাগ্যশ্রী। ক্যারিয়ারের শুরুতে বাঁধাধরা কোনো চাকরি না করলেও একটি টিভি চ্যানেলে সঞ্চালিকা হিসেবে কাজ শুরু করেন ভাগ্যশ্রী।
খুবই কম বেতনে সঞ্চালনার কাজ শুরু করেন ভাগ্রশ্রী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রথম বেতন হিসেবে পেয়েছিলাম ১৫০০ রুপি। আমার জীবনের প্রথম উপার্জন কীভাবে খরচ করব তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। পরে বাবা-মাকে নিয়ে আমাদের প্রিয় এক রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলাম। সেদিন খুব আনন্দ পেয়েছিলাম।’
ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল ভাগ্যশ্রীর। অডিশন দেওয়ার পর ছোট পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ পান। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেন। ‘ঘাগড়ে অ্যান্ড সুন’, ‘বস মাঝি লড়াচি’, ‘কান্দে পোহে’ শিরোনামে একাধিক মারাঠি ধারাবাহিকে অভিনয় করেন ভাগ্যশ্রী।
২০২১ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘সত্যমেব জয়তে টু’ সিনেমা। জন আব্রাহম অভিনীত এই সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে ভাগ্যশ্রীর। ‘সিস্টারহুড’ নামে একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে দেখা যায় ভাগ্যশ্রীকে।
গুঞ্জন রয়েছে, খ্যাতনামা মারাঠি অভিনেতা ভূষণ প্রধানের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন ভাগ্যশ্রী। এ দুই তারকাকে বহু জায়গায় একসঙ্গে দেখা গেছে। ভূষণের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভাগ্যশ্রীকে এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, ভূষণের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। বরং অভিনেতা তার খুব কাছের বন্ধু।
এ বিষয়ে ভাগ্যশ্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মারাঠি ইন্ডাস্ট্রির গুটি কয়েক অভিনেতার সঙ্গে আমার খুবই ভালো বন্ধুত্ব। তাদের মধ্যে ভূষণ অন্যতম। আমরা একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। আমাদের বেশির ভাগ সময় একসঙ্গে দেখা যায় বলেই হয়তো এই রটনা চাউর হয়।’
‘ভূষণ আর আমি সবসময় মজা করি। আমাদের নিয়ে কী খবর হচ্ছে তা একে অপরকে জানাই। কার পাঠানো খবরের শিরোনাম কত বেশি রসালো তা নিয়েও হাসিঠাট্টা করি।’ বলেন ভাগ্যশ্রী।