১৯৮৮ সালের ২৪ জুন মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে জন্মগ্রহণ করেন প্রজ্ঞা জয়সওয়াল; সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। জবলপুরে বাবা-মা এবং বোনের সঙ্গে থাকতেন তিনি। পুণের স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করেন প্রজ্ঞা। স্কুলজীবন থেকে অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থাকলেও বিষয়টি সেভাবে গুরুত্ব দেননি। পরবর্তীতে পুণের একটি কলেজ থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন।
মূলত, হাতখরচের জন্য মডেলিং করতে শুরু করেন প্রজ্ঞা। ২০০৮ সালে একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। তারপর প্রজ্ঞার কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব আসতে শুরু করে। প্রজ্ঞা অনেক নামি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে মডেল হতে থাকেন। তারপর অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
২০১৪ সালে তামিল ভাষার ‘বিরাটু’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন প্রজ্ঞা। তামিল সিনেমার পাশাপাশি তেলুগু, হিন্দি ভাষার সিনেমায়ও অভিনয় করেন তিনি। ২০১৪ সালে ‘টিটু এমবিএ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে তার অভিষেক ঘটে। দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও বলিপাড়ায় তেমন পরিচিতি গড়ে তুলতে পারেননি প্রজ্ঞা।
২০২২ সালে সালমান খানের সঙ্গে একটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেন প্রজ্ঞা। এরপর সালমানের সঙ্গে হিন্দি ভাষার একটি সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পান। এতে সালমানের প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেন। কিন্তু মুক্তির সময় তার দৃশ্যগুলো কেটে বাদ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে মুক্তি পায় সালমান খানের ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ শিরোনামের এই সিনেমা।
প্রজ্ঞা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, সিনেমাটিতে সালমানের প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। কয়েকটি দৃশ্যে অভিনয়ের পাশাপাশি সালমানের সঙ্গে দু’টি গানের দৃশ্যও শুট করেছিলেন প্রজ্ঞা। কিন্তু সিনেমাটি মুক্তির সময় তার দৃশ্যগুলো বাদ দেওয়া হয়।
প্রায় ১০ বছর পর আবার বলিপাড়ায় ফিরেছেন প্রজ্ঞা। সম্প্রতি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘খেল খেল মে’। সিনেমাটিতে তার সহশিল্পী ছিলেন অক্ষয় কুমার, তাপসী পান্নুর মতো তারকারা। সিনেমাটি মুক্তির পর বেশ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেত্রী।
শোবিজ অঙ্গনে পা দেওয়ার পর অনেকের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে প্রজ্ঞার। কানাঘুষা শোনা যায়, দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নির্মাতা রাধাকৃষ্ণ জগরলামুদির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন প্রজ্ঞা। পরে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়।