বড়দিন উপলক্ষে খৃষ্টধর্মের অনুসারীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) পৃথক বাণীতে রওশন এরশাদ বলেন, মানবজাতিকে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য যিশু খ্রিস্টের জন্ম হয়। তিনি মানুষকে শুনিয়েছেন শান্তির বাণী ও ভালোবাসার কথা। যিশু খ্রিস্টের জন্ম ও তার ক্রশীয় মৃত্যুর প্রকৃত তাৎপর্য হল মানুষের পাপ কালিমা মুছে যাওয়া, সত্য জীবনযাপন করা, অন্যায় অত্যাচার বন্ধ করা, ন্যায্যতা আনায়নসহ প্রভৃতি ভাল কাজে আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা।
দেশের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীসহ সমগ্র দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বড় দিনে প্রত্যাশা করেন, সাম্প্রদায়িকতা, সহিংসতা আর ভেদাভেদ ভুলে শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বের সব মানুষের জীবনে। এ ধর্মীয় উৎসব সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সংহতি গড়ে উঠবে এবং তা বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করবে।
পৃথক বাণীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের খৃষ্টধর্মের অনুসারী সব মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, খৃষ্টধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিষ্টের শুভ জন্মদিন। এই দিনে জেরুজালেমের কাছে বেথলেহেম নগরীর কাছাকাছি এক গোয়াল ঘরে জন্ম নেন যীশু। পবিত্র এই দিনে বাংলাদেশের খৃষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, স্বল্পস্থায়ী জীবনে যীশু খ্রিষ্ট মানুষকে আহবান করেছেন শান্তি, সাম্য আর ভালোবাসার পথে। হিংসা, দ্বেষ ও পাপাচার থেকে মানুষকে মুক্তির পথে ডেকেছেন তিনি। সংযম ও পরম সহিষ্ণুতা দিয়ে যীশু জয় করেছিলেন মানুষের হৃদয়। শত নির্যাতন ও প্রতিকূলতার মাঝেও সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকতে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন যীশু খৃষ্ট। যীশু মানুষের সাম্যের কথা বলেছেন। প্রতি বছর এই দিনে সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের খৃষ্টান সম্প্রদায়ও অত্যান্ত আনন্দঘন পরিবেশে শুভ বড়দিন উদযাপন করেন। আনন্দঘন এই শুভ দিনের উৎসব আয়োজনে এ দেশের মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা অংশ নেন।
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নির্দশন দৃশ্যমান হয় শুভ বড়দিনে। আশা করছি, সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বড় দিনের উৎসবে অংশ নেবেন। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শত বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও দৃঢ় হবে। সবার জন্য শুভকামনা।