সাইবার নিরাপত্তা আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খোলস বদল বলে উল্লেখ করে এই প্রতারণা রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস ও সদস্য জুলফিকার আলী।
নেতারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লেখক মুশতাককে জীবন দিতে হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজা গত দুই বছর ধরে জেলখানায় বন্দি।সাড়ে ৫ হাজার মামলা এখনো বিচারাধীন। ফলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি বাতিলের দাবিতে দেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার রয়েছে। শুধু তাই নয়, জাতিসংঘসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থাও এই আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে। দেশি-বিদেশি নানামুখী চাপে পড়ে সরকার এই দমনমূলক আইনটি বাতিল না করে পরিবর্তনের মাধ্যমে কৌশলে একই ধরনের সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়ে গত সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৬০টি ধারার সবগুলোই নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে থাকবে। শুধুমাত্র অজামিনযোগ্য ৮টি ধারা জামিনযোগ্য করা হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে শাস্তির মাত্রা কিছুটা কমিয়ে জেল জরিমানার জায়গায় শুধু জরিমানা করা হয়েছে।
বাসদ নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার আবারো ক্ষমতায় আসার জন্য ফন্দিফিকির করছে।ক্ষমতায় থেকেই জাতীয় নির্বাচন করার চেষ্টা করছে। ফলে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের জনগণের যে লড়াই তাকে দমন করার জন্যই সাইবার সিকিউরিটি আইনটি করার চেষ্টা করছে।
নেতারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব নিবর্তনমূলক, দমনমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইন করার সরকারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।