রাজনীতি

‘সংসদে অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস করতে হবে’

সরকারকে অবিলম্বে জনগণের দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল জাতীয় সংসদ পাস করার আহ্বান জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট। 

বারো দলীয় জোটের নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন সন্নিকটে। এই আতঙ্কে সরকার ও সরকারি দলের নেতারা দিশেহারা। কেউ কেউ পাগলের প্রলাপ বকছেন।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এরপর বিজয়নগর, কাকরাইল মোড় ঘুরে পানির ট্যাংকির সামনে এসে মিছিল শেষ হয়।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাব না। এই দাবিতে সব রাজনৈতিক দল ও জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আজকে বর্তমান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে দিয়ে একটা নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি জাতীয় সংসদে আইনের মাধ্যমে পাস করতে হবে।

জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, এই সরকারের পতন চাই। দেশে গণতন্ত্র নয়, চলছে গুন্ডাতন্ত্র। দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার নেই। যার প্রমাণ সরকারের একজন বরখাস্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমেরিকার দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় চেয়েছে। তবে, জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন ঘটাবে।

বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, জনগণের আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের অংশগ্রহণমূলক কারচুপিমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের চাপে সরকারের অবস্থা শোচনীয়। নিশ্চিত পরাজয় এবং পতনের পরে জনগণের সামনে তাদের দুঃশাসন ও লুটপাটের জবাবদিহিতার ভয়ে অনির্বাচিত অবৈধভাবে প্রতিনিধিত্বকারী সরকারি দলের নেতাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তারা কেউ কেউ নিরাপদে দেশ ছাড়ার পথ খুঁজছে।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক দলের (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা শওকত আমিন প্রমুখ।