রাজনীতি

‘ভিসা নিষেধাজ্ঞায় তাদের বাড়িতে কান্নাকাটি অথচ বক্তৃতায় চাপাবাজি’

মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় তারা ভয় পেয়েছেন। তাদের বাড়িতে কান্নাকাটি চলছে। অথচ ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা এ নিয়ে চাপাবাজি করেই যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বুধবার (২৭ সেপ্টম্বর) রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

ভিসা নিষেধাজ্ঞায় সরকারি লোকজন বিপদে আছে—এমন মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম বলেন, তারা যে বিপদে আছে সেটা বোঝা যায়। বিভিন্ন বক্তৃতায় চাপাবাজি করলেও তাদের অনেকের ছেলে-মেয়েরা আমেরিকায় যেতে পারছে না, ফিরে আসতেছে। বড় বড় সরকারি কর্মকর্তারা ভিসার দরখাস্ত দিয়ে রিজেক্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে কান্নাকাটি চলতেছে। আর বাইরে এসে মাইকের সামনে বলছেন এই সব স্যাংশন, এই সব রেস্ট্রিকসন আমরা পরোয়া করি না।

ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা ভয় পেয়েছেন কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত। যাদের কারণে এই লজ্জা, তাদের এর দায় বহন করতে হবে।

চলমান সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে অংশ নিতে দলমত-নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের দাবি ন্যায্য। তাই জনগণ আমাদের পক্ষে আছে। বাংলাদেশের সবাই পরিবর্তন চায়। কেউ বলতেছে, কেউ বলতেছে না। যারা এখনো রাস্তায় নামছেন না, তাদের বলি—এই সরকারের পতন অবশ্যই হবে। বাংলাদেশের জনগণ শুধু নয়, গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই সরকারের পতন হবেই হবে। যারা এই সরকার পতনের আন্দোলনে আছেন, তারা স্বৈরাচারের পতন করেছেন বলে গৌরব করবেন। আর যারা আন্দোলনে আসছেন না, তারা আক্ষেপ করবেন আর বলবেন—আ হা! স্বৈরাচারবিরোধী এই আন্দোলনে থাকতে পারলাম না!

বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে তাদের মাঝে ফিরে পেতে চায়। তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক। খালেদা জিয়া পালিয়ে যাওয়ার মানুষ না। তিনি জীবনে কখনো পালিয়ে যাননি। চিকিৎসা শেষে তিনি ফিরে এসে আবারও আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।