দমন-পীড়ন ও হঠকারিতার পথ ছেড়ে কালবিলম্ব না করে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ঘোষিত মহাসমাবেশ ও এবি পার্টির আয়োজনে গণতন্ত্র সমাবেশ চলাকালে পুলিশের হামলা, গুলি বর্ষণ ও মুহুর্মুহু টিয়ারশেল নিক্ষেপের অভিযোগ এনে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি জোটের ডাকা আগামীকালের হরতালের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে দলটি।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়-৭১ চত্বরে এবি পার্টির গণতন্ত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে দলের সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন ও সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান।
সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘গণতন্ত্র সমাবেশ চলা অবস্থায় সরকার মুহুর্মুহু সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে চরম অরাজকতার সূত্রপাত করেছে। জনতার এই বিপ্লব বিজয়ের মাধ্যমে শেষ হবে ইনশাআল্লাহ।’
অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করে আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, ‘বাকশালি সরকার জনগণের উপর হামলা করে দেশ জুড়ে অশান্তি ছড়িয়ে দিতে চায়।’
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জনগণের সমাবেশে যেভাবে সরকার হামলে পড়েছে তাতে এই সরকার আর চলতে পারে না। ফ্যাসিবাদ হটিয়ে জনগণের সরকার কায়েম করেই আমরা ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।’
মুজিবুর রহমান মন্জু বলেন, ‘বর্তমান সরকার অতীত স্বৈরশাসনের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এরা অবৈধ, এরা চোর, এরা লুটেরা, এরা দুর্নীতিবাজ, এরা মানবাধিকার হরণকারী, সর্বোপরি এরা দেশের সংবিধান এবং সকল ধরনের নীতি-আদর্শ ধ্বংসকারী। জনগণ আজ এই সরকারের প্রতি চূড়ান্ত অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে।’ তিনি দমন পীড়ন ও হঠকারিতার পথ ছেড়ে কালবিলম্ব না করে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের আহ্বান জানান।
আরও বক্তব্য রাখেন, এবি পার্টির নেতা শাহ আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট সাঈদ নোমান, যুব পার্টির শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসাইন, এম আমজাদ খান, মেহেদী হাসান চৌধুরী পলাশ, এস এম আক্তারুজ্জামান, আশরাফ মাহমুদ রুমেল, গাজী নাসির, আব্দুল হালিম খোকন, ফিরোজ কবির, সফিউল বাসার, যুবনেতা হাদিউজ্জামান খোকন, তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, আলী নাসের খান, নারী নেত্রী রাজিয়া সুলতানা, আমেনা বেগম, সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, শীলা আক্তার প্রমুখ।