বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ক্ষমতার মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য এমন নির্বাচন নির্বাচন খেলার পরিণাম কখনো জাতির জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে না।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
ড. মঈন খান বলেন, ৩০ নভেম্বর-পরবর্তী রাজনীতির গতিপ্রকৃতির বাস্তবতা হচ্ছে, সরকার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনটিকে তাদের নির্বাচনে বিজয়ের দিন বলে উল্লাস করছে। এটা যে তাদের জন্য কত বড় পরাজয় তা তারা আজ বুঝতে না পারলেও এ ভুলের জন্য জনতার আদালতে আওয়ামী লীগকে আগামীতে বিশাল মূল্য দিতে হবে। ক্ষমতার মোহে ও অর্থবিত্ত আহরণের লোভে অন্ধ হয়ে তারা দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে গেছে, যা শুধু আওয়ামী লীগের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্যই মারাত্মক এক পরিণতি ডেকে আনবে।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার চিরতরে হরণ করার সরকারের এই যে কাণ্ডজ্ঞানহীন চিন্তাধারা, যা বাংলাদেশকে ৭ জানুয়ারি একটি নির্বাচনী সার্কাসের দিকে ধাবিত করছে; সেটা আজ শুধু দেশের ভেতরে নয়, বরং সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মননশীল মানুষের সামনে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটি কলঙ্কময় ভাবচিত্র প্রতিস্থাপন করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে উচ্ছ্বাস কিংবা আগ্রহ কোনোটাই নেই। এটা ইতিমধ্যে স্পষ্ট যে নির্বাচনের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে কোনোরূপ ভোট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণ নিঃশেষ হয়ে গেছে। কারণ নির্বাচনের ফলাফল ইতিমধ্যে নির্ধারিত হয়ে গেছে, মানুষের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন বাংলাদেশে চিরতরে ফুরিয়ে গেছে।
মঈন খান বলেন, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল পাতানো নির্বাচনের তফসিল বর্জন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বও এ নির্বাচন নিয়ে আস্থাহীনতার প্রশ্ন তুলেছে। তারা যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিল, সরকার তা আমলেই নেয়নি। ফলে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ নির্বাচনে পর্যবেক্ষকও পাঠাচ্ছে না। কারণ তারা বুঝে গেছে, নির্বাচনের নামে এখানে কত বড় প্রহসন হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এ দেশে জনগণের আন্দোলন কখনো বৃথা যায়নি। এবারও যাবে না। সরকার মনে করেছে, আগের মতো এবারও একতরফা একটি নির্বাচন করে স্বাচ্ছন্দ্যে ক্ষমতায় থাকবে, তা হওয়ার নয়। তাদের মনে রাখতে হবে, ২০১৪ বা ২০১৮ আর ২০২৪ কিন্তু এক নয়।