রাজনীতি

‘মানবাধিকার যাদের হাতে লুণ্ঠিত হচ্ছে, তারাই মানবাধিকার নিয়ে বেশি সোচ্চার’

মানবাধিকার যাদের হাতে লুণ্ঠিত হচ্ছে, তারাই মানবাধিকার নিয়ে বেশি সোচ্চার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘৃণ্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনে রেকর্ড ভেঙেছে। তাদের মুখে আজ মানবাধিকারের কথা মানায় না। বিএনপির মুখে মানবাধিকারের বুলি শোভা পায় না। 

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান, বেগম জিয়ার আমলে দেশে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তাতে ওদের লজ্জাও করে না। আজও তারা বলে আওয়ামী লীগ সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনে প্রথম। অথচ ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকতে তারা আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।

১৫ আগস্টের নির্মম ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই নৃশংসতা সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। এই হত্যার বিচার পর্যন্ত হয়নি। 

জেলের ভেতরে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি শেষ করে দিতে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটনা হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের পর খালেদা জিয়াও গুম-খুনের রাজনীতি করেন, বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গতানুগতিক কর্মসূচি অবরোধ-হরতাল এটা বিএনপির ব্যর্থ আন্দোলনের ফলশ্রুতি। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা মানবাধিকারের বিষয়ে সোচ্চার। তাদের কথা শুনলে মনে হয় বিশ্ব মোড়লের সোল এজেন্ট।

সিলেটে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে সিলেট থেকে, সম্ভাব্য তারিখ ২০ ডিসেম্বর।

শরিক দলের সঙ্গে আসন বণ্টনের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৭ তারিখ পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় আছে। সময় যখন আছে তখন অস্থির হওয়ার দরকার নেই। এ সময়ের ভেতরে যোজন-বিয়োজন কিংবা প্রয়োজনে শেয়ারিং করবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।