সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি ও সমমনা দলগুলো আগামী সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা দেশব্যাপী হরতাল ডেকেছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে চলমান যে আন্দোলন, তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল ঘোষণা করছি।
১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দেশে কি জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে?’ তিনি এ সময় নির্বাচন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রকাশ্যে দরকষাকষি করে সিট ভাগাভাগির একটা নির্বাচন নিয়ে প্রতিদিন নাটক দেখতে দেখতে দেশের মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। সর্বসাকুল্যে একটাই দল আর এক নেত্রীর নেতৃত্বেই নির্বাচন করার জন্য দেশটাকে মগের মুল্লুক বানিয়ে ফেলেছে তারা। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের জেলে ঢুকিয়ে বাড়ি-ঘর, দোকানপাট বন্ধ রেখে ফেরারি করে, দেশের জনগণকে জিম্মি করে আগামী ৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের পাঁয়তারা চলছে।
তিনি বলেন, সরকার পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি গ্রেপ্তারের ভয়ে বাড়িছাড়া থাকায় তার পরিবারের লোকজন খাবার না পেয়ে কষ্টে দিন যাপন করছেন। নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের কোনো আগ্রহ না থাকলেও গণভবন ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢাক-ঢোল বাজানো হচ্ছে। আর জনপদগুলোতে নিজেরাই মারামারি, খুনাখুনি করছেন। মানুষ আর সহ্য করতে পারছে না।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই ভুয়া নির্বাচন বানচাল করবে দেশের ভোটাররা। কোনো সচেতন মানুষ নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে না। তাদের ভোট কেন্দ্রে বসে মাছি তাড়াতে দিন।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলো।