রাজনীতি

লুটপাটের নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে না: ইসলামী আন্দোলন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, নির্বাচনের নামে আওয়ামী প্রীতি ম্যাচ দেখতে দর্শকও থাকবে না। তাদের ভাগাভাগি ও দেশবিরোধী নির্বাচন জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। মাফিয়া সরকারের লুটপাটের নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে না।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে রাজধানীর শান্তিনগর বাজার মসজিদ গেটে গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন—দলের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ডা. শহিদুল ইসলাম, মাওলানা কে এম শরীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, , মুফতি আব্দুল আহাদ, নাজিমুদ্দিন গাজী, অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, মুফতি আখতারুজ্জামান মাহদী ও পল্টন থানা কমিটির সভাপতি কবির হোসেন খোকন।

ইমতিয়াজ আলম বলেন, একদিকে নির্বাচনের নামে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের আয়োজন চলছে, অপরদিকে দ্রব্যমূল্যের আগুনে মানুষ পুড়ছে। মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে।

বিরোধী মতের মানুষ আজ ঘরে ঘুমাতে পারছে না, অভিযোগ করে তিনি বলেন, পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে কার্যত পুরো দেশকে কারাগার বানিয়ে ফেলছে। ৭ তারিখের একতরফা ও পাঁতানো নির্বাচনে দেশের শান্তিকামী, মুক্তিকামী জনতা ভোট কেন্দ্রে যাবে না। আওয়ামী ডামি নির্বাচনে কেউ ভোট দেবে না। তামাশা দেখার জন্য কেউ রাস্তায়ও বের হবে না।

‘সরকার ভাবছে, সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে তারা বিনা বাধায় নির্বাচনের নামে প্রহসন করে ফেলবে। কিন্তু, জনগণ তা হতে দেবে না। যেকোনো কোরবানির বিনিময়ে হলেও জনগণ ৭ তারিখের নির্বাচন প্রতিহত করবে,’ বলেন মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।

মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর নির্বাচন মানি না। বিরোধী দল ও মতের তোয়াক্কা না করে সরকার একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য মানবতাবাদী নেতা পীর সাহেব চরমোনাই জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করছেন। 

অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।