রাজনীতি

৪৮ ঘণ্টা হরতালসহ তিন দিনের কর্মসূচি জামায়াতের

নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে আরও তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। নতুন কর্মসূচির মধ্যে আছে—৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী মিছিল ও গণসংযোগ এবং ৬ জানুয়ারি ভোর ৬টা থেকে ৮ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল। কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম এক বিবৃতিতে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলো প্রহসনের নির্বাচন বয়কট করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে আসছেন। কিন্তু, সেদিকে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। প্রত্যেক নাগরিকেরই ভোট দেওয়া বা না দেওয়ার অধিকার আছে। আওয়ামী লীগ প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে ও ভয় দেখাচ্ছে। ভোটের দিন সরকার পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে মর্মে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। সরকারের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের জন্য আমরা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক হরতালসহ তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

মাওলানা এটিএম মাছুম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার রায় ঘোষণার মাধ্যমে ২০২৪ সালের যাত্রা শুরু করেছে। ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের মধ্যে ভয় দেখানো, হুমকি-ধামকি, গ্রেপ্তার ও হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে’। 

তিনি বলেন, যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার নূরুন্নবী, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার আমির আবুল বাশার বসুনিয়া ও নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার আমির মাওলানা আবুল কালাম আযাদসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি এই গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের দ্রুত মুক্তি দাবি করছি। আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কারণে অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রহসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সরকার তার সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে আলাদা করার প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন করেছে।