রাজনীতি

বিএনপির ১১ কর্মীকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে, দাবি গয়েশ্বরের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দাবি করেছেন, একই সময়ে বিএনপির রাজনীতি করার অপরাধে ১১ জন কর্মীকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন তিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, দেশের বৃহত্তম ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আত্মত্যাগ, তথা সার্থকতা রয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে এবং শান্তিপূর্ণ ও অহিংস কর্মসূচিতে বিএনপি পরিস্থিতি মোকাবিলা করে চলেছে। অন্যদিকে, ক্ষমতার মোহে অন্ধ আওয়ামী লীগ একটি দানবীয় অপশক্তিতে পরিণত হয়ে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকে ধারণ করেছে ঘৃণ্য রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে।

গত ১৫ বছরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তি ও পরিবারের ওপর নৃশংস অত্যাচার-অবিচার হয়ে আসছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের অজস্র প্রতিবেদনে তা লিপিবদ্ধ আছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শামিল হওয়ার অপরাধে বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মী তাদের দৈনন্দিন নাগরিক জীবন থেকে বঞ্চিত।

গায়েবি মামলায় কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই বিএনপি ও সব অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন গয়েশ্বর।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধ্য করা হচ্ছে হাতকড়া-ডাণ্ডাবেড়ি পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। বাবা-মায়ের জানাজায় অংশ নিতে। এছাড়া, বাড়িতে বাড়িতে চলছে অভিযান ও হামলা। লুটে নিচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, সম্পদ।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রতি জনগণের যে সমর্থন এই বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ জানে, অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে দেশের প্রায় সব আসনে ধানের শীষের কাছে নৌকার অবশ্যম্ভাবী পরাজয় ঘটবে। এই কারণে আওয়ামী লীগ আরও বেশি জনবিদ্বেষী হয়ে উঠেছে, বাড়িয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর তাদের নির্ভরশীলতা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমার বর্ডারে হামলা এবং সেখানকার অধিবাসীদের আমাদের ভূখণ্ডে ঢুকে যাওয়ার পেছনে কী রহস্য ও কারণ রয়েছে, তা ভেবে দেখতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের যতটা উদ্যোগ নেওয়ার কথা, ততটা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপির আন্দোলন এবং পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, আমাদের আন্দোলন-কর্মসূচি চলমান আছে। কখনও কখনও কৌশলগত কারণে তার গতি প্রকৃতি বদল হয়। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা রাজপথে আছি, ছিলাম এবং থাকবো।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, আবদুল আউয়াল মিন্টু।