রাজনীতি

বাবা কখনও মনোনয়ন পাননি, এবার ফরম কিনলেন মেয়ে

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত কুপন বিক্রি করে তৎকালীন আ.লীগ কেন্দ্রীয় কমিটিকে অর্থ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার পর ১৯৭৫ সালে যুবলীগের সভাপতি হিসেবে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ৯ মাস কারাবাস করেন। ৬০ বছরের বেশি সময় আ.লীগের রাজনীতির বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেও স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচনে দলের মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন বারবার। এবার মাগুরা জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি রেজাউল হকের মেয়ে অ্যাড. ফারজানা ইয়াসমীন মালতী দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ঝিনাইদহ-মাগুরা (২৭) মহিলা সংরক্ষিত এমপি আসনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মালতী বলেন, আমার বাবা ১১ দফা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৭০-৭১ সালে সভাপতি, মাগুরা মহকুমা ছাত্রলীগ দায়িত্ব থাকাকালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। এ ছাড়াও জেলা যুবলীগের সভাপতি ও কৃষক লীগের সভাপতি এবং মাগুরা জেলা আ.লীগের বিভিন্ন মেয়াদে সিনিয়র সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। ৬০ বছরের বেশি সময় রাজনীতি করেও দলের মনোনয়ন পাননি। এ কারণে আমি এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ঝিনাইদহ-মাগুরা (২৭) মহিলা সংরক্ষিত এমপি আসনের মনোনয়নপত্র কিনেছি। 

উল্লেখ্য, ফারজানা ইয়াসমীন মালতী ছাত্রজীবনে জেলা ছাত্রলীগ ও কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে মাগুরা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের একজন কর্মী। মাগুরার স্বাধীনতার স্বপক্ষের প্রথম আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠবীথির অন্যতম সদস্য। তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত তিনি।