বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত, কুকি-চিন সম্পর্কে তিনি অবগত থাকলেও তাদের সম্পর্কে তেমন খোঁজ খবর রাখেননি কিংবা রাখার প্রয়োজন মনে করেননি। বরং অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কুকি-চিনকে তোয়াজ করা হয়েছে। কেন কুকি-চিনকে এতো তোয়াজ করা হয়েছে, এর পেছনেই লুকিয়ে রয়েছে আসল রহস্য।
শনিবার (৬ এপ্রিল) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, দেশবাসী জানে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী পাহাড়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় বেড়ে উঠলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কুকি-চিনের পরিবর্তে পাহাড়ে তথাকথিত জঙ্গি ধরার নাটক করেছে। অপ্রিয় হলেও সত্য, এই কুকি-চিনকে ব্যবহার করে নিজেদের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে গিয়ে অবৈধ ক্ষমতালিপ্সু সরকার বর্তমানে দেশের সার্বভৌমত্বকে বিপদে ফেলে দিয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, কুকি-চিন গত দু’তিন দিন যেভাবে বান্দরবানে থানা, পুলিশ ফাঁড়ি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে তাতে স্পষ্টই প্রমাণিত, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী সম্পর্কে দেশের গোয়েন্দারা ছিল বেখবর। কিংবা তাদের বেখবর করে রাখা হয়েছে।
জনগণ মনে করে, শেখ হাসিনার তাঁবেদার সরকারের কারণেই কুকি-চীন বর্তমানে দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, বান্দরবানের ভয়াবহ ঘটনাকে কোনো বিচ্ছিন্ন কিংবা একটি সাধারণ ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করলে ভবিষ্যতে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে দেখা দিতে পারে। সুতরাং, কুকি-চিনের তৎপরতা বন্ধ করতে হলে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার এবং রিমান্ডে নিয়ে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
অন্যথায় ব্যাংক লুট এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনার প্রকৃত রহস্য কখনোই জানা সম্ভব হবে না বলে উল্লেখ করেন রিজভী।