বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, যারাই দুর্নীতিবাজ তারাই শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজন। এটি আজ অত্যন্ত সত্য কথা। তাদের বিরুদ্ধে সত্য কথা লিখলে তারা বলে সাংবাদিকরা জামায়াত-শিবিরের লোক। তাহলে আপনারা কার লোক, শেখ হাসিনার লোক? শেখ হাসিনার প্রশ্রয়ে নানা অপকর্ম করছেন, দুর্নীতি করছেন, টাকা পাচার করছেন। শেখ হাসিনার নির্দেশে আন্দোলনরত বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গুম করছেন, খুন করছেন, নিপীড়ন চালিয়েছেন। এখন আপনাদের অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলেই জামায়াত-শিবির বানানোর চেষ্টা করছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শ্যামপুর ও কদমতলী থানা বিএনপির দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিনের বাসভবনে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় রিজভী বলেন, পুলিশের মধ্যেও ভালো লোক আছে, তারাতো অনেক ভালো কাজও করে। তাহলে কিছু দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে আপনারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন কেন? আপনারা তো শেখ হাসিনার বাহিনী হতে পারেন না, কারণ আপনারা তো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আপনাদের বেতন হয়।
তিনি বলেন, কিছুসংখ্যক দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে আপনারা যে বিবৃতি দিয়েছেন তা সংবিধানবিরোধী। এ বিবৃতি যারা দিয়েছেন তাদের বিচার হওযা উচিত। দেশে আইনের শাসন থাকলে অবশ্যই তাদের বিচার হতো।
দেশের তিন বারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ জানিয়ে রিজভী বলেন, এর জন্য দায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এমনকি জাতিসংঘ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত আক্রোশে বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে বন্দি করে রেখেছেন। তিনি শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। তাকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দিতে চাচ্ছেন। কারণ বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে শেখ হাসিনার সিংহাসন আর থাকবে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ, জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, যুবদল নেতা মেহেবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা জাকির হোসেনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।