বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সিসিইউ (করোনারি কেয়ার ইউনিট) সুবিধা সম্বলিত কেবিনে ভর্তি আছেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাইজিংবিডিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের বিষয়ে ছড়ানো গুজবকে ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তিনি।
৮ জুলাই থেকে গত ১৬ দিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে কয়েকদফা শারীরিক বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয়েছে তার।
মাঝে একবার সিসিইউতে ছিলেন বিএনপি নেত্রী। তবে কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে তাকে আবারও ফিরিয়ে আনা হয় কেবিনে। এর মাঝেই শারীরিক নানা জটিলতার কারণে কয়েক ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয় বেগম জিয়াকে। ১৭ জুলাই তার অ্যান্ডোসকপি করা হয়। গত ২ জুলাই বাসায় ফেরার মাত্র ৬ দিনের মাথায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে আবারও ভর্তি করা হয়েছিলো তাকে। সেই থেকে আছেন এভারকেয়ারেই।
তবে, শুক্রবার রাত থেকে হঠাৎ করে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও তার মৃত্যু নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। খবরের সত্যতা জানতে গণমাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষেরা খোঁজ নিতে থাকেন। উদ্বেগের সঙ্গে জানতে চান বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা।
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরীক অবস্থা সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং মেডিক্যাল বোর্ডের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তিনি সিসিইউ সুবিধাসহ কেবিনেই চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি সবাইকে গুজবে কান না দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া করতে অনুরোধ করেছেন।
প্রসঙ্গত, বেগম খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে সর্বশেষ পেসমেকার বসিয়ে সাময়িক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যে ঝুঁকি, সেটা খুব একটা কমছে বলে মনে করছেন না তার চিকিৎসক দল। তারা জানান, ৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া হৃদরোগ, লিভার, ফুসফুস, কিডনি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে। এর মধ্যে লিভার, কিডনি ও হৃদরোগ তার জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে মনে করেন তারা।