বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, গত ১৬/১৭ বছরে আওয়ামী লীগ যত অত্যাচার নির্যাতন করেছেন তার সবকিছুর বিচার করতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এ ছাড়া তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিকামী ছাত্রজনতা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যা সারা বিশ্বে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে। বিএনপির নেতৃত্বে দেশের সব রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ থেকে খুনি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারকে বিদায় দিতে পেরেছে। তারা স্ফূলিঙ্গ তৈরি করেছিল। ফলশ্রুতিতে আগ্নেয়গিরির লাভার মতো দেশের ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছিল।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে তাদের লক্ষ্য পরিষ্কার করতে হবে। তবে দেশ থেকে স্বৈরাচার মূলোৎপাটন করার আগে কিছু অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার সরকারকে করতে হবে। এজন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।
তা ছাড়া তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি কঠিন সময়ে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলসহ বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।
এ ছাড়া ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত আছেন।