রাজনীতি

জিএম কাদের, আনিস ও চুন্নু‌কে গ্রেপ্তারের দাবি, রোববার কর্মসূচি

পতিত সরকা‌রের ‘দোসর’ হি‌সে‌বে সা‌বেক বি‌রোধী দলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, সা‌বেক চিফ হুইপ মু‌জিবুল হক চুন্নু ও জাতীয় পা‌র্টির চেয়ারম্যান ব‌্যা‌রিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ‘সু‌বিধা‌ভোগী’ নেতা‌দের গ্রেপ্তার ক‌রে বিচা‌রের মু‌খোমু‌খি করার দা‌বি জা‌নি‌য়ে‌ছে ফ্যাসিবাদবিরোধী জনতা। 

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপু‌রে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি‌তে এ দা‌বি জানা‌নো হয়। দা‌বি আদা‌য়ে আগামী রোববার মশাল মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

ফ্যাসিবাদবিরোধী জনতার সমন্বয়ক এমএ আরিফের সভাপতিত্বে এতে সহ-সমন্বয়ক নাজমুল হাসান, তুহিন মাহমুদ, জহির উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সমন্বয়ক আরিফ বলেন, দেশের নিরপরাধ ছাত্রজনতাকে হত্যা করে স্বৈরাচার হাসিনা যে অপরাধ করেছে। একই অপরাধে অপরাধী জাতীয় পার্টির চেয়ারম‌্যান জিএম কা‌দের, কো-চেয়ারম‌্যান ব‌্যা‌রিস্টার আনিস, মহাস‌চিব মু‌জিবুল হক চুন্নুসহ দল‌টির শীর্ষ‌নেতারা। পতিত অবৈধ সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন তারা। দেশের জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রাখতে আওয়ামী সরকারের নীল নকশা বাস্তবায়নে অন্যতম সহযোগী ছিল জাতীয় পার্টি।

তিনি বলেন, ১৪ জানুয়ারি দিনের ভোট রাতে করেছে এই জাতীয় পার্টিও। আজকে প্রতারক জিএম কাদের বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। সত্যিই যদি তিনি পক্ষে থাকতেন, তাহলে প্রথমেই যখন রংপুরে আবু সাঈদ শহিদ হোন, তখন যদি এর প্রতিবাদে জাতীয় পার্টি সংসদ থেকে পদত্যাগ করতেন— তাহলে আজকে হাজারো ছাত্রজনতাকে প্রাণ দিতে হতো না। আসলে ক্ষমতার মোহ-ই জিএম কাদেরের কাছে মুখ্য।

সমন্বয়করা বলেন, স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে মেনন-ইনুর যদি সাজা হয়, তাহলে জাতীয় পার্টির জিএম কাদের, আনিসুল ইসলাম মামুদ এবং মজিবুল হক চুন্নুর কেনও বিচার হবে না? আজকে হত্যা মামলার আসামি হয়েও জিএম কাদের যখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন, তখন খুনি-অপরাধীদের সঠিক বিচার নিয়ে জনমনে প্রশ্ন জেগেছে।