রাজনীতি

দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরির পাঁয়তারা চলছে: সালাহউদ্দিন

দেশে অনেক রকমের সাংবিধানিক সংকট তৈরি করার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সংকট সৃষ্টি করে ‘পতিত ফ্যাসিবাদের’ দোসররা যাতে সুযোগ না নিতে পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। 

রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। 

আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের শিকার ও জুলাই আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়। 

সভায় সালাহউদ্দিনআহমদ বলেন, ‘আজ অনেক রকমের সাংবিধানিক সংকট তৈরি করার পাঁয়তারা চলছে। সাংবিধানিক সংকট যদি হয়, রাষ্ট্রীয় সংকট যদি হয়, রাজনৈতিক সংকট যদি হয়, সেই রাজনৈতিক সংকটের পেছনে কী শক্তি আছে, সেটা আগে আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে। তার ফলাফল কী হবে, তা বিশ্লেষণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যাতে কোনো রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টি না হয়, যাতে আমাদের সাংবিধানিক কোনো সংকট শুরু না হয়ে যায় এবং সেই সাংবিধানিক সংকট সামনে রেখে ফ্যাসিবাদ ও পতিত ফ্যাসিবাদের দোসররা যাতে কোনো সুযোগ না নিতে পারে, সেই বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’

সভায় জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের দুঃখগুলোকে নিতে পারব না। সেখানে অন্তত ৫০ জন কালো চশমা পড়া ছেলে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছেন আমরা দুনিয়ার আলো দেখতে পারি না।’

জামায়াত আমীর বলেন, ‘তরুণরা বুকের রক্ত দিয়ে জাতিকে পথ দেখিয়েছেন। মুক্তির আন্দোলনের শুরু হয়েছে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর, যার পরিণতি হয়েছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। কেউ কল্পনা করেনি বাংলাদেশে, এমন একটি পরিস্থিতি হবে। আমরা বা কোনো রাষ্ট্রবিজ্ঞানীও বলতে পারেনি।’

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তকরণ, শহীদ পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতা অনুসারে অন্তত একজনকে চাকরির দাবি জানান তিনি। 

দলের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা যায়না তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য রক্ত দিতে হয়, জীবন দিতে হয় ও লড়াই করতে হয়। আপোষহীন সংগ্রামের মাধ্যমেই মানুষের মুক্তি নিশ্চিত হবে। 

সভায় শহিদ পরিবার, জাতীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্য ছাড়াও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনসহ অন্যান্যরা। এ ছাড়াও, সভায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুমসহ কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর-দক্ষিণের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।