অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিভিন্ন মহল থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি উঠে। এবার এই বিষয়ে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের মতামত দেওয়া ঠিক হবে না। এটা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত নয়, এটা জনগণের সিদ্ধান্ত। জনগণ সিদ্ধান্ত দেবে, কে রাজনীতি করবে; কে করবে না এবং সেটা হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। নির্বাচনে জনগণের কাছে যারা খারাপ তারা বাতিল হয়ে যাবে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাস ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ একটা কাজ খুব সফলভাবে করেছে। তা হলো জাতিকে বিভক্ত করেছে। এই বিভক্ত দূর করে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। রাজনৈতিক মতামত ভিন্ন থাকবে কিন্তু ঐক্য থাকবে মৌলিক কিছু বিষয়ে। যেমন- বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশর মানুষের অধিকারের বিষয়ে। এই বিষয়গুলোতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, উপদেষ্টা হিসেবে যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে তার যেন বিতর্কিত না হয়। এই বিষয়ে সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নিজেদের স্বার্থেই এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিত।
তিনি বলেন, এই সরকারকে সফল করার দায়িত্ব আমাদেরও। কারণ আমরাও এই আন্দোলনের অংশীদার। আর এই সরকার এসেছে আন্দোলনের মাধ্যমে। আমরা চাই না, এই সরকার ব্যর্থ হয়ে আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাক।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ প্রমুখ।