অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার বিপরীতে ‘মাফিয়াচক্র’ দেশকে আমদানি ও ঋণনির্ভর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের তৃতীয় জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সময় ১০ হাজারের বেশি পোশাক তৈরি কারখানা থাকলেও বর্তমানে তা ৩ হাজারের কাছাকাছি। কারণ ‘মাফিয়াচক্র’ ও পতিত স্বৈরাচার সরকার দেশকে আমদানি ও ঋণনির্ভর করেছে। এ অবস্থা থেকে বের করে দেশকে স্বনির্ভর করতে হবে। এই লক্ষ্য পূরণে জনগণের সমর্থন পেলে বিএনপি নানামুখী উদ্যোগ নেবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়েোগ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ, প্রবাসী বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং এসএমই বিনিয়োগ জটিলতামুক্ত করতে বিএনপি কাজ করছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘পতিত স্বৈরাচার পালানোর পর দেশের প্রকৃত অবস্থা বেরিয়ে এসেছে। ফ্যাসিবাদ সরকারের ১৬ বছরের জঞ্জাল তিন মাসে দূর করা সম্ভব নয়, কিন্তু তাদের কাজে সন্তুষ্ট না হলে জনগণের প্রশ্ন তোলাও অস্বাভাবিক নয়। কোনও ভুল পদক্ষেপে সমালোচনা হবেই, সরকারের অদক্ষতা হিসেবে তা বিবেচিত হবে।’’
পড়ুন: যত দ্রুত নির্বাচন, ততই জনগণের কল্যাণ: বিএনপি মহাসচিব
আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতরা যখন সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে সড়কে নেমে আসে, তা খুবই বিব্রতকর। আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি অগ্রাধিকার তালিকায় কোন পর্যায়ে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারা, পণ্যের ঊর্ধ্বমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় কোন পর্যায়ে আছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।’’
অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘‘এ সরকারকে ব্যর্থ করতে পতিত স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা বসে নেই। সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষের আন্দোলনের ফসল। তাই এই সরকার ব্যর্থ হলে আমরা সবাই ব্যর্থ হব। তাদের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত জন-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে যাচ্ছে। জনগণ ভাবছে, সরকার নিজেদের ‘ভালো’ সিদ্ধান্তগুলো চাপিয়ে দিতে চাইছে।’’
সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের দাবি জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশন সংস্কার করছে। জনগণ মনে করছে, তারা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবেন। মানুষ ভোটের অধিকার ফিরে পাচ্ছে, জনগণ এটা বুঝতে পারলে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা বাড়বে।’’