প্যানিক অ্যাটাক ও হার্ট অ্যাটাক এই দুটোই হঠাৎ করেই যে কারো হতে পারে। এ কারণে নিজের ও অন্যের জীবন বাঁচাতে এই দুটো বিষয় সম্পর্কে সবারই সতর্ক ও সঠিক তথ্য জেনে রাখা জরুরি।
প্যানিক অ্যাটাক ও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো প্রায় একই। উভয় ক্ষেত্রেই সাধারণ লক্ষণ হিসেবে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঘাম ও ভয়ের অনুভূতি প্রকাশ পায়। তবে আরও কিছু লক্ষণ আছে যার মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক ও প্যানিক অ্যাটাকের মধ্যকার পার্থক্য ধরতে পারবেন একটু সতর্ক হলেই।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ:
* বুকে ব্যথা বাড়তেই থাকে, কয়েক মিনিটের মধ্যে তীব্রতায় রূপ নেয়।
* বুক ভার হয়ে আসে এবং পুরো বুকে ছড়িয়ে পড়ে।
* বুক থেকে ব্যথা শরীরের অন্যান্য অংশে- হাত, পেট, পিঠ, কাঁধ, ঘাড় এবং চোয়ালে ছড়িয়ে পড়ে।
* শারীরিক পরিশ্রমের সময় বুকে ব্যথা হয়।
* শ্বাসকষ্ট।
প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ:
* বুক ধড়ফড়।
* বুকে ব্যথা অনুভব, যা ৫-১০ সেকেন্ডের জন্য থাকে।
* ব্যথা এক জায়গায় স্থায়ী হয়েছে বলে মনে হয়।
* ব্যথা সাধারণত আরো বাকি রয়েছে বলে অনুভূত হয়।
* ব্যথা উদ্বেগ দ্বারা অনুষঙ্গী হয়।
* পজিশনের পরিবর্তনে ব্যথা দুর্বল হয়।
* ব্যথা স্থানে চাপ দিলে ব্যথা বৃদ্ধি বা পুনরাবৃত্তি অনুভব হয়।
এছাড়া আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে প্যানিক এবং হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে। উভয় ক্ষেত্রে লক্ষণ কাছাকাছি হলেও, হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে শারীরিক গুরুতর রোগ আর প্যানিক অ্যাটাক মানসিক রোগ। প্যানিক অ্যাটাক ঘুমের মধ্যেও হতে পারে আবার জেগে থাকা অবস্থায়ও হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হয়ে যাচ্ছে ভেবে অনেকে প্যানিক অ্যাটাকে ভোগেন। একবার প্যানিক অ্যাটাক হলে পরবর্তী অ্যাটাকের সময় ও পরিণতি নিয়ে অনেকের মধ্যে একটা ভয় বা উদ্বেগ কাজ করে। এর ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে কর্মক্ষমতাও হ্রাস পায়। উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায়।
প্যানিক অ্যাটাক নাকি হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে বুঝতে না পারলে চিকিৎসার সাহায্য নিতে হবে দ্রুত।
তথ্যসূত্র: লিফটার