দেহঘড়ি

নতুন মায়েদের জন্য স্বাস্থ্যকর যত খাবার

মা ভালো থাকলে ব্রেস্টমিল্কের উৎপাদন ঠিক থাকে। আবার  মায়ের শরীরে পুষ্টির অভাব থাকলে ব্রেস্টমিল্ক উৎপাদন কমে যায়। নিয়ম মেনে পাঁচ খাবার খেলে মা সুস্থ থাকতে পারবেন। সন্তানও পর্যাপ্ত ব্রেস্টমিল্ক পাবে। যে খাবারগুলো নিয়মিত খেতে হবে:

অ্যাভোকাডো:  ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ফোলেট, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অ্যাভোকাডো। নতুন মায়েরা নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে উপকারী ফ্যাট। নতুন মায়েরা দুপুরে খাবার খাওয়ার পর একটা অ্যাভোকাডো খেয়ে নিলে দ্রুত শক্তি পাবেন।

মাশরুম: ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার মাশরুম। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত মাশরুম খাওয়া ভালো। নতুন মায়েদের জন্য এই খাবার খুব দরকার। এতে থাকা ভিটামিন ডি এবং প্রোটিন শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হতে দেয় না।

শাক: এই শীতে বাজারে পেয়ে যাবেন তরতাজা পালং, নটে, সজিনার মতো শাক। শাক হচ্ছে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর অন্যতম উৎস। তাই নিয়মিত এইসব শাক পাতে রাখলে যে অনায়াসে ব্রেস্টমিল্কের উৎপাদন বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য! শুধু তাই নয়, ইমিউনিটি বাড়ানোর ইচ্ছা থাকলেও আপনার প্রধান পছন্দ হতে পারে শাক। 

মৌসুমি সবজি: মৌসুমি সবজিতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার। আর এই সব উপাদান নতুন মায়েদের সুস্থতার জন্য খুব উপকারী। তাই নতুন মায়েদের খাবারে গুরুত্ব পেতে পারে সবজির পদ। পরিমাণমতো সবজি খেলে ব্রেস্টমিল্কের উৎপাদন বাড়বে।

ডিম, মাছ, মাংস:  শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে ব্রেস্টমিল্ক উৎপাদন কমে যায়। তাই খাবারে ডিম, মাছ বা মাংসের মধ্যে যেকোন একটি খাবার খেতেই হবে। তাহলেই নতুন মায়েদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকবে না। বিশেষ করে  দুপুরের খাবারে একটি প্রোটিন রিচ পদ রাখার চেষ্টা করতে হবে। এতে মা ভালো থাকবে, সুস্থ থাকবে সন্তানও।

নতুন মায়েরা ব্রেস্টমিল্কের উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় থাকেন। এ সমস্যা সমাধানে দৈনন্দিন খাবার তালিকায় কিছু খাবার যোগ করা জরুরি। হেলথস্টোরের প্রতিবেদনে যেসব খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো- কলা, ভিজিয়ে রাখা বাদাম এবং দুধ।