যেকোন রোগের ছোট-খাট উপসর্গ সাধারণত এড়িয়ে যেতে চায় মানুষ। অথচ প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করানো গেলে ক্যান্সারের মতো রোগও ভালো হয়ে যায়। ছোট খাটো উপসর্গকেও গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্সারে আক্রান্তদের বেঁচে থাকার হার তিনগুণ বেড়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা গ্রহণ করার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।
ক্যান্সারের কয়েকটি সাধারণ উপসর্গ জেনে নিন:
কারণ ছাড়া ওজন কমে যাওয়া: যদি ওজন কমানোর চেষ্টা না করেও পাঁচ কেজি বা তার বেশি ওজন কমে সেটি ক্যান্সারের প্রথম লক্ষণ হতে পারে। অগ্ন্যাশয়, পাকস্থলী, খাদ্যনালী বা ফুসফুসের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ওজন কমে যাওয়ার এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়।
জ্বর: যে স্থানে ক্যান্সার উৎপন্ন হয়েছে সেখান থেকে দেহের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়া শুরু হলে তখন প্রায়ই জ্বরে ভুগতে পারেন।
ক্লান্তি: এখানে ক্লান্তি বলতে বোঝায় চরম ক্লান্তিভাব। যা বিশ্রাম নেয়ার পরও দূর হয় না।
ত্বকে পরিবর্তন: ত্বকের ক্যান্সার ছাড়াও আরো কিছু ক্যান্সার রয়েছে যাতে আক্রান্ত হলে ত্বকে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। এর লক্ষণ ও উপসর্গের মধ্যে রয়েছে: ত্বক কালো হয়ে যাওয়া, চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া।
মূত্রাশয়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন: কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া বা আপনার মলের আকারে দীর্ঘদিন ধরে পরিবর্তন মলাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
যে ক্ষত ভালো হয় না: শরীরে যদি কোন আঁচিল থাকে যেটি বাড়ে বা ব্যথা হয় বা সেটি থেকে রক্তপাত হয় তাহলে সেটি ত্বকের ক্যান্সারের একটি লক্ষণ হতে পারে।
রক্তপাত: ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় কিংবা তা ছড়িয়ে পড়ার পর অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে।
শরীরের যে কোন স্থান শক্ত হয়ে যাওয়া: অনেক ক্যান্সার ত্বকের মাধ্যমে শনাক্ত করা যেতে পারে। এ ধরণের ক্যান্সার সাধারণত স্তন, অণ্ডকোষ, গ্রন্থি এবং শরীরের নরম টিস্যুতে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে শরীরে শক্তভাব বা মাংস জমে আছে- এ ধরণের অনুভূতি হয়।
গিলতে অসুবিধা: ক্রমাগত বদহজম বা কোন কিছু গিলতে গেলে সমস্যা হলে সেটা ইসোফ্যাগাস, পাকস্থলী বা গলার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
এ সব উপসর্গই ক্যান্সার ছাড়াও অন্য আরো অনেক কারণেই দেখা দিতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি