আজ বিশ্ব পানি দিবস। পানি মানব দেহের জন্য কতটা জরুরি সেটা জানেন তো? শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে রক্ত ঘন হয়ে যেতে পারে। শরীরে পানির ঘাটতির ফলে শ্বাসনালী সঙ্কুচিত হয় এবং অ্যাজমা জাতীয় রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতি কেজি শারীরিক ওজনের জন্য ৪০ মিলিলিটার পানি প্রয়োজন। অর্থাৎ আপনার ওজন যদি ৬০ কেজি হয় তাহলে প্রতিদিন আপনাকে ২.৪ লিটার পানি পান করতে হবে।
পানি শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে জেনে নিন:
জয়েন্ট এবং মেরুদণ্ডের ডিস্কে থাকা তরুণাস্থিতে প্রায় ৮০ শতাংশ পানি থাকে। দীর্ঘমেয়াদী ডিহাইড্রেশন জয়েন্টগুলোর শোষণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এর ফলে জয়েন্টে ব্যথা হয়।
পানি খাবার হজমে সহায়ক লালা এবং শ্লেষ্মা গঠন করে। মুখ, নাক এবং চোখকে সতেজ রাখে। পানি শরীরে অক্সিজেন সরবরাহের কাজ করে।
পানি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রেখে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। পানি কম খেলে ডিহাইড্রেশন থেকে ত্বকে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। পানি আমদের মস্তিষ্ক, মেরুদন্ড এবং অন্যান্য সংবেদনশীল টিস্যুকে ভালো রাখে।
পানি কম পান করলে ডিহাইড্রেশন মস্তিষ্কের গঠন এবং কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। যা হরমোন এবং নিউরোট্রান্সমিটার উত্পাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। চিন্তাভাবনা এবং যুক্তির ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বিজ্ঞানীরা বলেন, শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে তাপ সহ্য করার ক্ষমতা কমে যায়। শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে বুকজ্বালা ও পেটের আলসারের ঝুঁকি বাড়ে। সুস্থতার জন্য পানি প্রয়োজন। পানি আমাদের ঘাম, প্রস্রাব এবং মল অপসারণের প্রক্রিয়াগুলোকে সহজ করে।
পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীরে রক্তচাপ ঠিক থাকে। কিডনি শরীরের তরল নিয়ন্ত্রণ করে। অপর্যাপ্ত পানির কারণে কিডনিতে পাথর এবং অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে- মাথাধরা, মনোযোগের ঘাটতি, ক্লান্তি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ইউরিন ইনফেকশনসহ নানা সমস্যা হতে পারে।
মনে রাখবেন, ভারী কায়িক শ্রম কিংবা খেলাধুলার পরে বেশি পরিমাণ পানি পান করতে হবে। কোষের পানি ও লবণের ভারসাম্য রক্ষার জন্য পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে অল্প অল্প করে পানি পান করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে