স্মার্টফোনের আসক্তি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। মানসিক স্বাস্থ্যে ভালো না থাকলে আমরা ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস হারাতে শুরু করি। যদিও আমরা জানি কোন-কোন কাজ আমাদের করা উচিত না, বা কোন-কোন কাজ আমাদের জন্য ভালো না। কিন্তু আমরা সেই কাজগুলো বার করি। কখনো মনের ভুলে এমন কাজ করি আবার কখনো ইমোশনালি এই কাজগুলো করে থাকি। যাকে বলে কম্পালসিভ বিহ্যাভিয়র।
স্মার্টফোন আমাদের হাতের নাগালে থাকে। পাশের মানুষটির সঙ্গে কথা বলতে বলতে আমরা নিজেদের অজান্তেই ফোনে মনোযোগ দেই বা ডিজিটাল পৃথিবী নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাই। এতে কাছের সম্পর্কগুলো উপেক্ষিত হয়। পরস্পরের প্রতি আবেগ, ভালোবাসা কমতে থাকে।
সাইকোলজিস্ট ইয়াহিয়া আমিন বলেন, আপনার স্মার্টফোন থেকে আপনি কমপ্লিটলি ফেসবুক অ্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, জি- মেইল ডিলিট করে দেন। আপনার স্মার্টফোনে এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করবেন না। বিশেষ করে ফেসবুক এবং ইউটিউব স্মার্টফোনে ব্যবহার করবেন না। প্রথমে মনে হতে পারে এগুলো ছাড়া আপনি বাঁচবেন না। কিন্তু সত্য কথা হচ্ছে আপনি বাঁচবেন এবং খুব ভালোভাবে বাঁচবেন।
আমরা অধিকাংশ মানুষ স্মার্টফোন অ্যাডিকটেড। খুব কম মানুষ ল্যাপটপ অ্যাডিকটেড। কারণ ল্যাপটপের যে বিহ্যাভিয়র সাইকেল সেটি আমাদের খুব একটা অ্যাডিকশন তৈরি করে না। কিন্তু স্মার্ট ফোন আমাদের অনেক বেশি অ্যাডিকটেড করে দেয়। আমাদেরকে কম্পালসিভ বিহ্যাভিয়র সাইকেলে নিয়ে আসে। স্ক্রিন টাইম কমাতে চাইলে আরেকটি নিয়ম মানতে পারেন স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ কখনোই বিছানাতে ব্যবহার করবেন না। আপনি যখন ঘুমাতে যাচ্ছেন বা ঘুম থেকে উঠেছেন, বিছানায় শুয়ে শুয়ে ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করবেন না। ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোন হচ্ছে কাজের জিনিস এগুলো উপযুক্ত জায়গায় বসে ব্যবহার করুন। বিছানা ঘুমানোর জায়গা সেখানে এগুলো নেবেন না।
এই দুইটি উপায় মেনে স্মার্টফোন অ্যাডিকশন থেকে নিজে বের হয়ে আসতে পারবেন। আবার এই দুই উপায়ে আপনার সন্তানকেও স্মার্টফোন অ্যাডিকশন থেকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে পারেন।