ভালো ঘুম আমাদের ভালো অনুভূতি দেয়। চিকিৎসকেরা বলেন, আমরা সারা রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমাই। এই সময়ের মধ্যে ঘুমের ধাপগুলো ছোট ছোট কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। প্রথম ধাপে হালকা ঘুম, দ্বিতীয় ধাপে আরেকটু গভীর ঘুম, তৃতীয় ধাপে গভীর ঘুম হয়। চতুর্থ ধাপে গিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি। এরপর আবার ঘুমের স্তর বা ধাপ শেষ থেকে শুরুর দিকে যেতে থাকে। অর্থাৎ গভীর ঘুম, হালকা গভীর ঘুম এবং হালকা ঘুম। এই হচ্ছে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং ভালো ঘুমের লক্ষণ।
কনসালটেন্ট স্লিপ মেডিসিন স্পেশালিস্ট সৌরভ দাস বলেন, ঘুমের এক একটা ধাপের স্থায়ীত্ব হয় এক থেকে দেড় ঘণ্টা। সব কয়টি স্তর ঠিকমতো পূর্ণ হলে সকালে ঘুম ভেঙে গেলে আমরা অনেক বেশি ভালো অনুভব করি।
বিভিন্ন রকমের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, আর্থ-সামাজিক বিশৃঙ্খলার প্রভাবে অনেক সময় আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারি না। এ ছাড়া প্রায় একশো রকমের স্লিপ ডিস-অর্ডার আছে। যেগুলো আলাদা আলাদা রোগ। এসব রোগের কোনো একটি রোগ থাকলেও অনেক সময় ঘুমের সমস্যা হয়। এসব রোগের মধ্যে কমন একটি রোগ হচ্ছে ইনসমনিয়া। স্লিপ ডিস অর্ডারের ফলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। অনেকের ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশতা এবং বিষণ্নতা দেখা দেয়।
সৌরভ দাসের পরামর্শ, ঘুমের সমস্যা যদি একটানা তিন মাস চলতে থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।