দেহঘড়ি

বর্ষায় পাকস্থলি ভালো রাখার উপায়

বর্ষায় পাকস্থলি ভালো রাখার উপায়

বর্ষার বাতাস থাকে ভেজা, প্রকৃতি থাকে সতেজ। এই সময়ে প্রাণ ভরে শ্বাস গ্রহণ করা যায়। কিন্তু এই বাতাস অ্যালার্জি এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। বর্ষায় বাতাসের আর্দ্রতা রোগজীবাণুকে সতেজ করে। পাকস্থলিতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বৃদ্ধি হয়। এতে পাকস্থলি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। এ সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়ে। এর জন্য চিকিৎসকেরা পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন। 

ভারতের কেয়ার হসপিটালস হাইটেক সিটির কনসালটেন্ট ডা. সতীশ সি রেড্ডি বলেন— বর্ষায় পাকস্থলিতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বৃদ্ধি হয়। এ সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হজমে সহায়ক এবং অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়তে পারে এমন খাবার গ্রহণ করা উচিত। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পারিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। 

বর্ষায় খাদ্য তালিকায় যা যা রাখতে পারেন

সাইট্রাস বা টক ফল: বর্ষায় কমলালেবু, লেবু এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খাওয়া উচিত। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই ধরনের খাবার শরীরের ব্যথা কমাতে পারে। 

হলুদ: এই সোনালি মসলা কারকিউমিনকে ভরপুর। এটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং অ্যালার্জির প্রভাব কমায়। 

আদা: এটি সুপরিচিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল মসলা। এই মসলা হজমে সহায়তা করে,  ব্যথা কমায় এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যার  বিরুদ্ধে লড়াই করে। 

রসুন: এই মসলাকে বলা হয় প্রকৃতির অ্যান্টিবায়োটিক। রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং সাধারণ সর্দি এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

দই: দই হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

করলা: করলার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। রক্তে শর্করার ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করে।

সবুজ শাক সবজি: সবুজ শাকসবজিতে আছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব উপাদান ইমিউন সিস্টেমকে বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

বর্ষাকে উপভোগ্য করে তুলতে এসব খাবার গ্রহণ করুন যাতে পাকস্থলি সুস্থ থাকে। মনে রাখা জরুরি, বর্ষায় শরীরের ব্যথা বাড়তে পারে এবং অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই খাবার গ্রহণে সচেতন হওয়া জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বর্ষায় কী খাবেন, তার একটি তালিকা তৈরি করে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র: ইণ্ডিয়া এক্সপ্রেস