দেহঘড়ি

ওজন কমানো কঠিন হলে যা করবেন

ওজন সঠিক মাত্রায় থাকলে শরীর যা যা ঘটে সেসব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, এটি আপনাকে একাধিক উপায়ে সাহায্য করে। যেমন—রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, পিত্তথলির পাথর, অস্টিওআর্থারাইটিস, শ্বাসকষ্ট, এবং স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমতে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে নিজের সম্পর্কে ভালো বোধ করতে পারেন।

তবে  ওজন কমানোর যাত্রা সব সময় সহজ হয় না। আপনার শরীরে হয়তো এমন কোনো রোগ আছে যার ফলে আপনি চাইলেই ওজন কমানোর জন্য যা যা করা দরকার তা শুরু করতে পারেন না। যদি ওজন কমাতে চান তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করণীয় ঠিক করে নিন। 

আরও কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখুন। যেমন—

বাস্তবসম্মত লক্ষ্য সেট করুন। খুব তাড়াতাড়ি খুব বেশি আশা করবেন না! একটি স্বাস্থ্যকর ওজন অর্জনের যাত্রা সহজ এবং দ্রুত হবে না, তবে এটি খুব জরুরি। দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল বজায় রাখার জন্য স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। উদাহরণস্বরূপ, চিনি কমিয়ে দিন এবং আপনি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলোর সাথে চিনি প্রতিস্থাপন করতে পারেন!

ওজন কমাতে হলে সঠিকভাবে ঘুমানো জরুরি! হার্ভার্ড টি. এইচ এর তথ্য অনুযায়ী—চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথের মতে, যারা কম ঘুমায় তাদের ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতার ঝুঁকি বেশি থাকে। চিকিৎসকেরা বলেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতে একটানা ৭ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

আপনি হয়তো এক কোটি বার শুনেছেন যে ওজন কমাতে হলে ব্যায়াম করতে হবে। আপনি যদি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে চান তবে আপনাকে সত্যিই ব্যায়াম করতে হবে। ইউকে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, ফিট এবং সুস্থ থাকার জন্য আপনাকে অবশ্যই সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। এবং সপ্তাহে ৭৫ মিনিট কঠোর পরিশ্রম বা কঠোর ব্যায়াম করতে হবে।

জার্নাল অফ ওবেসিটি অ্যান্ড মেটাবলিক সিনড্রোমে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া বা ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েট অনুসরণ করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। সেজন্য আপনার খাবার তালিকায় ফল, শাকসবজি এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি পরিমাণ বাড়াতে হবে।

ক্রনিক স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বাড়ায়। যা স্থূলতা বাড়াতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধ্যান মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। 

তথ্যসূত্র: হেলথ শর্টস