দেহঘড়ি

প্যানিক অ্যাটাক হলে দ্রুত যা করতে হবে

ভীতি বা উদ্বেগের তীব্র অনুভূতি থেকে প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে। ইউনিসেফের তথ্য, প্যানিক অ্যাটাক কোনো ক্ষতি করে না। তীব্র ভয়, ভীতি অনুভব হলেও সত্যিকার অর্থে ওই অনুভূতি এক সময় চলে যায়। প্যানিক অ্যাটাক চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব।

কখন বুঝবেন প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে: তীব্র ভয়-ভীতির সঙ্গে হালকা মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব হতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে হার্টবিটও বেড়ে যেতে পারে। পেট ফাঁপতে পারে এবং কান্না আসতে পারে। অনেক সময় প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তি দীর্ঘসময় কান্না করে থাকেন।

কারা আক্রান্ত হয়: যেকোন বয়সের মানুষ প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে পারেন। শিশুদেরও প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা আছে। 

কেন হয়: মানসিক চাপ, প্রিয়জনের মৃত্যু, নির্যাতন বা অবহেলার শিকার হলে এই সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলে বা সহিংসতার শিকার হলেও প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে।

শিশু-কিশোরদের এই সমস্যা দেখা দিলে করণীয়: বর্ণমালার নাম ধরে এগোতে পারেন। যেমন-  বর্ণমালার প্রতিটি অক্ষর দিয়ে শব্দ বানাতে বলতে পারেন। হতে পারে ব্যক্তি, স্থান বা প্রাণীর নাম। এতে তারা মস্তিষ্কের একটি অংশকে ওই শব্দ নির্মাণে যুক্ত করবে। এতে ভয়ের প্রকোপ কমে যাবে। শিশুকে জোরে জোরে শ্বাস নিতে বলতে পারেন। যেন এক একটি শ্বাস পাঁচ সেকেন্ড করে ধরে রাখে তারপর ছাড়ে। এ ছাড়া আক্রান্ত শিশুর পেটের ওপর হাত রাখতে পারেন। শিশুকে একটি নিরাপদ এবং খোলামেলা জায়গায় বসাতে পারেন। এই সময় তাকে একটি ভালো স্থানের কথা কল্পনা করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। আক্রান্ত শিশু বা কিশোর-কিশোরী যদি ঘর থেকে বের হতে না চায় তাহলে বুঝবেন সে ভীষণভাবে আক্রান্ত। তখন তাকে একজন চিকিৎসককে দেখাতে হবে।

বড়দের প্যানিক অ্যাটাক হলে করণীয়: প্যানিক অ্যাটাক হলে আরাম করে শোয়ার চেষ্টা করুন। যাতে মাংস পেশি শিথিল হয়ে আসে। পানি পান করতে পারেন। জোরে জোর শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারেন। প্যানিক অ্যাটাক থেকে রক্ষার পাওয়ার জন্য সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন মানসিক প্রস্তুতি। মনোযোগ অন্যদিকে নিতে প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। প্রিয় কোনো কাজ করতে পারেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বে প্রতি ১০জনে ১ জন প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে মানসিক শক্তি দিয়েই মোকাবিলা করতে হয়।

তথ্যসূত্র: ইউনিসেফ ও বিবিসি