দেহঘড়ি

আম খাওয়া কেন জরুরি

বর্ষায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে পাকা আম। নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ আমকে বলা হয় ফলের রাজা। এই ফল রোগ প্রতিরোধ করে আবার ত্বক এবং চুলও ভালো রাখে। আমের পুষ্টিগুণ নিয়ে রাইজিংবিডির সাথে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ জাহানারা আক্তার সুমি ।

এই পুষ্টিবিদ জানান, আম স্বল্প ক্যালরিযুক্ত একটি ফল। কিন্তু  এতে রয়েছে অনেক বেশি ভিটামিন , মিনারেলস ও ফাইবার। ১৬৫ গ্রাম আমে রয়েছে ৯৯/১০০  ক্যালরি, শর্করা (২৪/২৫) গ্রাম, আমিষ ১.৪ গ্রাম, চর্বি ০.৬ গ্রাম, ফাইবার ২.৬ গ্রাম। ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন সি, এ, ই সবচেয়ে বেশি থাকে। এ ছাড়াও আমে রয়েছে ভিটামিন কে এবং বিভিন্ন রকম বি ভিটামিন। আমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মিনারেলস বা খনিজ লবনের মধ্যে কপার, ম্যাগনেশিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদি রয়েছে।

দিনে কত বার আম খাবেন জাহানারা আক্তার সুমির পরামর্শ, আম যেহেতু স্বল্প ক্যালরি যুক্ত একটি ফল তাই যেকোন  শর্করা জাতীয় বা অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার কম গ্রহণ করে অথবা এর পরিবর্তে সারাদিনে দুই থেকে তিনবার আম খেতে পারেন।

রোগ প্রতিরোধে কীভাবে সাহায্য করে

জাহানারা আক্তার সুমি বলেন, ‘আমে প্রচুর ফাইবার রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা, এসিডিটি এসব জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। আমের ম্যাগনেশিয়াম ও পটাসিয়াম  ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আমে পর্যাপ্ত ভিটামিন থাকায় চোখ সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। আমে যে  পলিফেনলস রয়েছে তা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে ফাইট করে- যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। স্ট্রং এন্টিঅক্সিডেন্ট; যেমন ভিটামিন এ, সি, ই থাকাতে আম ব্যাপকভাবে আমাদের রোগ প্রতিরোধ এ ও ভূমিকা রাখে। 

ত্বক এবং চুলের যত্নে আম আমাদের ত্বক আর চুলের জন্য আমের ভিটামিন এ, এবং ই খুবই উপকারী। ত্বকের যত্নে সরাসরি আম ব্যবহার করা যায়। খাবার হিসেবে আম গ্রহণ করলে এতে থাকা খাদ্য উপাদান ত্বককে  বিভিন্ন  ধরনের ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত আম খেলে ত্বকের ময়েশ্চারাইজার বজায় থাকে এবং চুল ভালো থাকে।

আম পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। এই ফল স্বাদে-গন্ধে এবং গুণে অনন্য। সব মিলিয়ে ফলের রাজা আম।