দেহঘড়ি

শিশুকে পুডিং খাওয়াচ্ছেন, বিশেষজ্ঞের মতামত জানুন  

সুস্বাদু খাবার পুডিং। ছোট-বড় সবাই পছন্দ করে। স্ন্যাকস হিসেবে পুডিংয়ের সমাদর রয়েছে। অনেক মা তার শিশুর টিফিনের জন্য পুডিং দিয়ে দেন। কিন্তু জানেন নিয়মিত পুডিং খেলে কী হয়? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ জাহানারা আক্তার সুমির মতামত জানুন।

জাহানারা আক্তার সুমি রাইজিংবিডিকে জানান, পুডিং খুবই সুস্বাদু আর জনপ্রিয় একটি খাবার। যা কিনা ডেজার্ট বা স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া হয়। পুডিং তৈরি করা সহজ এবং সময়ও অনেক কম লাগে। আর এটি তৈরিতে যে উপকরণ গুলো প্রয়োজন হয় তা খুবই সহজলভ্য। বিভিন্নধরনের পুডিং রয়েছে যেমন ক্যারামেল পুডিং, চকোলেট পুডিং, কাষ্টার্ড পুডিং, চিজ পুডিং, ব্রেড এন্ড বাটার পুডিং, বেকড রাইস পুডিং ইত্যাদি। মূল উপাদান অনেক ক্ষেত্রেই প্রায় একই রকম থাকলেও স্বাদের পরিবর্তনের জন্য ব্যবহার করা বিভিন্ন রকম উপাদান। এজন্যই মুলত  পুডিংয়ের পুষ্টিমান পরিবর্তন হয়ে থাকে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে পুডিংয়ের পুষ্টিমান নির্ভর করে এটি তৈরিতে আপনি কি কি উপাদান ব্যবহার করছেন তার উপর।  যেকোন বয়সের মানুষের জন্য পুডিং নিরাপদ যদি পরিমিত পরিমানে গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

জাহানারা আক্তার সুমি আরও বলেন, পুডিং শিশুদের জন্য অনেক বেশি উপকারি। বিশেষ করে অনেক মায়েরা অভিযোগ করে থাকেন তার শিশু সরাসরি দুধ বা ডিম খায় না—এসব ক্ষেত্রে আমরা যদি দুধ আর ডিমের মিশ্রণে তৈরি পুডিং শিশুকে খাওয়াতে পারি তাহলে আমরা সহজেই সেই শিশুর প্রোটিন, ফ্যাট কার্বোহাইড্রেট এর  চাহিদা পূরণ করতে পারবো আর সাথে যদি আমরা বাদাম যোগ করে দেই তাহলে অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড  যেমন ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যোগ হয়ে  যাচ্ছে যা তার ব্রেইনের ডেভেলপমেন্টের জন্য খুব জরুরি।

‘পুডিং মূলত দুগ্ধজাত একটি খাদ্য এবং এর আরেকটি মূল উপাদান হলো ডিম। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে পুডিং প্রোটিন আর ফ্যাটের একটি  গুরুত্বপূর্ণ  উৎস। এছাড়াও সুগার যোগ করার  ফলে  এতে কার্বোহাইড্রেট এর একটা অংশও পুডিং থেকে পাওয়া যায়। আবার দুধের মধ্যে যে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে সেটাও যুক্ত হচ্ছে। দুধ জাতীয় যেকোন খাবার ক্যলসিয়াম আর ভিটামিন ডি-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস  হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পুডিংয়ে আরও রয়েছে বি ভিটামিন আর মিনারেল।’—যোগ করেন জাহানারা আক্তার সুমি।

১০০ গ্রাম পুডিং-এ যেসব খাদ্য উপাদান থাকে:  ১৪৭ কিলোক্যালরি,  প্রোটিন ৩.৫ গ্রাম, ফ্যাট ৪.৫ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট  ২৩.০ গ্রাম, ভিটামিনস এর মধ্যে  থায়ামিন ০.০৪ মিলিগ্রাম,  বি ২  রিবোফ্লাভিন  ০.১৮ মিলিগ্রাম, বি ৬ ০.০৩ মিলিগ্রাম,  ভিটামিন সি ২.২ মিলিগ্রাম,  মিনারেলস এর মধ্যে  সোডিয়াম ৭০ মিলিগ্রাম,  পটাসিয়াম ৮০ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৬০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৬০ মিলিগ্রামসহ আরও অনেক কিছু। 

সুতরাং শিশুকে নিয়মিত পুডিং খাওয়াতে পারেন। এতে তার পুষ্টির চাহিদা সহজেই পূরণ হবে। বাড়ির বড়রাও নিয়মিত পুডিং খেতে পারেন।