দেহঘড়ি

প্রবীণ সদস্যদের স্বাস্থ্যের যত্নে করণীয়

আমাদের  প্রায় প্রত্যেক পরিবারে প্রবীণ সদস্য রয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যের দিকে দিতে হবে বিশেষ নজর। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু সাধারণ সমস্যা দেখা দেয়। যেমন অনেক কিছু ভুলে যেতে পারেন, চোখে কম দেখতে পারেন, শ্রবণ শক্তি কমে যেতে পারে এবং একাকীত্ব অনুভব  করতে পারেন। আরও দেখা দিতে পারে অ্যাসিডিটির সমস্যা, হজমের সমস্যা ইত্যাদি। এই সমস্যাগুলো যাতে মোকাবিলা করা যায় এজন্য প্রবীণদের দিতে হবে সঠিক পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। প্রবীণ বয়সে ক্যালোরি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং প্রোটিনের চাহিদা বেড়ে যায়। প্রবীণদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বিশেষ প্রয়োজন হয় ভিটামিন ডি, আয়রন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, জিঙ্ক এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ খাবার।

পুষ্টিবিদ তাসনিম আশিকের পরামর্শ—

প্রবীণদের খাবার তালিকায় সহজে হজম হয় এমন খাদ্য রাখা উচিত। যে খাবারগুলো খেলে অ্যাসিডিটি হবে না, কোষ্ঠকাঠিন্য হবে না, রক্তের সুগার লেভেলটা কন্ট্রোলে থাকবে, হাড়জনিত কোনো সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সাধারণত সারাদিনে যে পরিমাণ ক্যালোরি দরকার হয় তার ৫০ শতাংশ পূরণ করে থাকে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার। নরম ভাত, রুটি, সাগু, সুজি, ওটস, চিড়া, মুড়ি, খই— এই সব খাদ্য উপাদান থেকে কার্বোহাইড্রেট নিশ্চিত করা যেতে পারে। একজন ব্যক্তি সারাদিনে কতটুকু খাবার খাবেন তা নির্ভর করতে তার শারীরিক চাহিদার ওপরে।

প্রোটিন জাতীয় খাবার প্রবীণ সদস্যদের অবশ্যই দিতে হবে। মাছ, মুরগির মাংস, ডাল, বীজ জাতীয় খাবার, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, মিক্স ডাল এই খাবার গুলো প্রবীণদের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। এসব খাবার থেকে প্রোটিন ও ক্যালোরি পাওয়া যায়। এগুলো শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে সহায়তা করে। 

ফাইবার রিচ খাবারগুলোর মধ্যে মৌসুমী সবজি যেমন ফুলকপি, বাধাকপি, লাউ, পটল এবং বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক, লাল শাক এগুলো খেতে দিতে হবে।  এর পাশাপাশি ভিটামিন এবং মিনারেলসও পাওয়া যায় এসব খাবার থেকে। 

হলুদ, লাল এবং কমলা রঙের ফল প্রবীণদের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। এ ছাড়া মধু, বেদেনা, খেজুর প্রবীণদের খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে। এগুলো আয়রনের ভালো উৎস। 

প্রবীণদের খাদ্যতালিকায় টক জাতীয় খাবার অর্থাৎ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার অবশ্যই থাকতে হবে। টক জাতীয় ফল ভিটামিন সি-এর অনেক বড়  উৎস।

হাড় ক্ষয়রোধে দুধ, দুধজাতীয় খাবার— পনির, দই তাদেরকে খেতে দেওয়া যেতে পারে। যদি সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং অতিরিক্ত ওজন না থাকে তাহলে কিন্তু মিষ্টি দইও তাদের খেতে দেওয়া যেতে পারে।