দেহঘড়ি

১০ মিনিট হাসলে যেসব উপকার পাবেন

মনোবিদ অ্যানি বাড়ৈ  এর মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ দিনে ১০ থেকে ১২ বার হাসেন। আর একটি শিশু সারাদিনে কমপক্ষে ১০০ বার হাসে। শিশুরা মন থেকে হাসে আর বড়রা হাসতে গেলে পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে ভাবতে শুরু করে।- কিন্তু একজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক মানুষ যদি মন থেকে হাসে তাহলে সুখ, আনন্দ আর সুস্থতা পেতে পারে। চিকিৎসকেরা বলেন, হাসির মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো যায়। হাসলে রক্তচাপ ঠিক থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ যদি দিনে ১০ মিনিট মন খুলে হাসে তাহলে তার স্নায়ুবিক সমস্যা দূর হতে পারে। হাসলে আরও অনেক উপকার পেতে পারেন।

মনসিক সুস্থতা: প্রাণখুলে হাসলে মানসিক চাপ কমে। ফলে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দূর হয়। চিকিৎসকেরা বলেন, হাসলে ‘স্ট্রেস হরমোন’ কর্টিসোল ও এপিনেফ্রিনের ক্ষরণ অনেকাংশে কমে যায়। বদলে সুখী হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। ফলে মানসিক চাপ স্বাভাবিক নিয়মেই কমে আসে। মানসিক সুস্থতা বাড়ে।

অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ে: শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে স্নায়ুর সমস্যাসহ নানা রোগ বেড়ে যায়। হাসি এমন একটি ব্যায়াম যেটি শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। নিয়মিত হাসলে শরীরের কোষ ও কলাগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে। হাসলে ফুসফুস ও হার্টে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে। ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিকঠাক হলে শ্বাসের সমস্যা কমে যায়। এ ছাড়া সংক্রমণজনিত অসুখ-বিসুখও দূরে থাকে। 

হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে: হাসলে হার্ট ভালো থাকে। কারণ হাসলে হার্টে রক্ত ও অক্সিজেন চলাচল  ঠিক থাকে। হৃদ্‌পেশিগুলোর ব্যায়ামও হয়ে যায়। ফলে হার্টের রোগের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। 

ব্যথাবেদনা কমবে: গবেষকরা বলছেন, হাসলে শরীরে এন্ডরফিনের ক্ষরণ বাড়ে। যা পেশির শক্তি বাড়াতে পারে। এতে সহ্যশক্তি বাড়ে এবং জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা কমে যায়।

ওজন কমায়: চিকিৎসকেরা বলেন, প্রতিদিন ১০ মিনিট থেকে ১৫ মিনিট হাসলে ৪০ ক্যালোরি পর্যন্ত পুড়তে পারে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।

হাসলে রাগ ও বিরক্তি কেটে যায়। যা আপনাকে স্বস্তি দিতে পারে। হাসুন, ভালো থাকুন।