অনেকেই সকালে দুধের সঙ্গে ওটস বা কর্নফ্লেক্স খান। বিশেষ করে বাড়ির শিশুদের সকালে এক গ্লাস দুধ পান করতে দেওয়া হয়। কেউবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ পান করেন। বিশেষ করে শিশু ও নারীদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত এই খাবার রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
দুধ থেকে সহজে পাওয়া যায় প্রয়োজনীয় ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি। দুধ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই খাবার দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। নিয়মিত দুধ পান করলে ত্বক ও চুল ভালো থাকে।
কিন্তু বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন কোম্পানীর পাস্তুরিত দুধের ওপর নির্ভর করতে হয়। কেউ কেউ পাস্তুরিত দুধ ফুটিয়ে খাওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। এই বিষয়ে চিকিৎসকেরা কী বলছেন জেনে নিন।
দুধ পাস্তুরাইজড করার জন্য ৭২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ১৫ সেকেন্ড ধরে দুধ ফুটিয়ে নেওয়া হয়। মূলত দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য এই উপায়ে দুধ ফুটিয়ে নেওয়া হয়। অনেকেই মনে করেন পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত এবং প্যাকেটজাত হয়ে বাজারে যে দুধ আসছে, তা না ফোটালেও চলে।
চিকিৎসকরা বলছেন, কাঁচা দুধ যতই জীবাণুমুক্ত করা হোক, তা না ফুটিয়ে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে গেলেও দুধ এক বার না ফুটিয়ে খাওয়া উচিত নয়। মাত্র ১৫ সেকেন্ডে দুধ জীবাণুমুক্ত হলেও, তা যে সম্পূর্ণ রূপে জীবাণু মুক্ত এমনটা বলা যায় না।
বাজার থেকে কেনা, প্যাকেটজাত দুধ সরাসরি খেলে পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ দুধের মধ্যে ই-কোলাই, স্যালমোনেল্লার মতো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।
তথ্যসূত্র: টিভি নাইন