মানবদেহের সংবেদনশীল এলাকাগুলোর একটি চোখের স্নায়ু স্তর বা রেটিনা অন্যতম। চক্ষুবিশেষজ্ঞরা বলেন, চোখের স্নায়ু স্তর বা রেটিনা কোষ শরীরের কেন্দ্রীয় স্নায়ুর অংশ। রেটিনা কোষ রক্ত প্রবাহ ছাড়া মোটেও টিকে থাকতে পারে না। নানা কারণে চোখে রক্ত প্রবাহ কমে যেতে পারে এবং চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন।
চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ সুমিত চৌধুরী ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অতিরিক্ত বেশি ‘স্ক্রিন টাইমের’ ফলে চোখের ‘নিয়ার ভিশনের’ উপরে প্রভাব পড়ে। অনেক সময় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখে ছানি পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলেও দৃষ্টিশক্তি কমে আসতে পারে। ফলে ঝাপসা দেখার প্রবণতাও বাড়ে। কিন্তু কাজ করতে করতে হঠাৎ দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা কঠিন কোনো রোগের উপসর্গ হতে পারে। অনেক সময় পড়ে গিয়ে বা অসাবধানতাবশত মাথায় আঘাত লাগে। এর ফলে যদি চোখের ‘অপটিক নার্ভ’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ধীরে ধীরে দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঝাপসা দৃষ্টি ব্রেন টিউমারের ইঙ্গিতও হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের ফলেও হতে পারে এই সমস্যা। হঠাৎ দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার সমস্যা ভুগতে পারেন গর্ভবতীরা নারীরা।’
সুমিত চৌধুরী আরও বলেন, ‘সুগারের মাত্রা ‘ফল’ করলে চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন। এই সমস্যায় চোখে ঝাপসা দেখার পাশাপাশি অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে এমনকি জ্ঞানও হারাতে পারেন। আবার মাইগ্রেনের সমস্যায় যারা ভোগেন তারা অতিরিক্ত আলো বা আওয়াজের ফলে মাথা যন্ত্রণার পাশাপাশি চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন। অনেক সময় কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপে চোখের নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।’
চোখে ঝাপসা দেখতে দ্রুত একজন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হোন।