দেহঘড়ি

শিশুদের কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

কিডনি রোগের সমস্যা দেশে বেড়েই চলেছে। এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, শিশুদের কিডনি রোগ অনেকাংশে নিরাময় যোগ্য। শিশুদের কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে কথা বলেছেন শিশু ও কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রেজোয়ানা আশরাফ।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি কিডনি মানব দেহের অতি প্রয়োজনীয় অঙ্গসমূহের মধ্যে একটি। আমাদের দেহে দুটি কিডনি আছে। শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালীন কিডনির কার্যকম শুরু হয়। কোনো কোনো মারাত্মক রোগ কিংবা কোনো কোনো ওষুধের প্রতিক্রিয়ার কারণে শিশুদের কিডনি আকষ্মিক অথবা স্থায়ীভাবে বিকল হয়ে যেতে পারে।’

শিশুর কিডনি রোগের লক্ষণ

১ শিশু যদি তলপেটে চাকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে কিংবা শিশুর প্রসাবের রং যদি লাল কিংবা ঘোলা হয় ২. বারবার শিশু যদি প্রস্রাব করে এবং পাঁচ বছর বয়সের বেশি শিশুরা যদি রাতের বেলায় বিছানায় প্রস্রাব করে ৩. শিশুর যদি আকষ্মিক শ্বাসকষ্ট হয় ৪. আকষ্মিক পাতলা পায়খানার পর শিশুর যদি প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়  ৫. শিশুর চোখ-মুখ  হঠাৎ করে যদি ফুলে যায়।   ৬. শিশু যদি সরু নালে প্রস্রাব করে তাহলে তার কিডনি জনিত  সমস্যা থাকতে পারে ৭. শিশুর শারীরিক কোনো পরিবর্তন যেমন অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া ৮. শিশুর বৃদ্ধি যদি তার বয়সের সাথে না হয়, সেক্ষেত্রেও কিডনি রোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে

ডা. রেজোয়ানা আশরাফ বলেন, ‘জন্মগত কিডনির ত্রুটি নিয়ে একটি শিশু জন্মগ্রহণ করতে পারে। শিশুর একটি কিডনি নাও থাকতে পারে। এ ছাড়া শিশুর কিডনি যথাযথ স্থানে না থাকলেও সমস্যা দেখা দেয়। শিশুর মূত্রনালী সংকোচন অথবা শিশু সিস্টিক কিডনি নিয়ে শিশু জন্মগ্রহণ করতে পারে। তবে শিশুদের কিডনি রোগ সহজে প্রতিরোধ যোগ্য। এ জন্য শিশু গর্ভে থাকাকালীন মাকে নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে, আল্ট্রাসনোগ্রাম এর মাধ্যমে শিশুর কোনো জন্মগত ত্রুটি আছে কিনা নির্ণয় করতে হবে।’

প্রতিরোধে করণীয় শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে। অতিরিক্ত লবণ বা ফাস্টফুড জাতীয় খাবার শিশুকে দেওয়া যাবে না। শিশুকে নিয়মিত খেলাধুলা ও ব্যায়াম করতে উৎসাহ দিতে হবে।